কথা ছিল সকাল ৮টায় ভোট দেবেন বুলবুল...

এভাবেই ইসলামীয়া কলেজ ভোটকেন্দ্রের মাঠে অবস্থান করেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন (বুলবুল)। রাজশাহী, ৩০ জুলাই। ছবি: শিশির মোড়ল
এভাবেই ইসলামীয়া কলেজ ভোটকেন্দ্রের মাঠে অবস্থান করেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন (বুলবুল)। রাজশাহী, ৩০ জুলাই। ছবি: শিশির মোড়ল

কথা ছিল সকাল আটটায় নগরের উপশহর স্যাটেলাইট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেবেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন (বুলবুল)। একই সময়ে ওই কেন্দ্রই ভোট দেওয়ার কথা ছিল আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামানের (লিটন)। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রার্থী যথারীতি সাড়ে ৮টায় ভোট দিলেও ভোট দেননি বুলবুল।

কেন ভোট দেননি তার কারণ নিজেই বর্ণনা করেছেন বুলবুল। নগরের ইসলামীয়া কলেজ মাঠে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, সকালে যখন তিনি তাঁর কেন্দ্রে ভোট দিতে যাচ্ছিলেন তখন তিনি শুনতে পান বিভিন্ন কেন্দ্রে তাঁর এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এ সময় তিনি ভোট দেওয়া বাদ দিয়ে ওই সমস্ত কেন্দ্রে ছুটে যান।

বুলবুল বলেন, বেলা ১১টার দিকে তিনি খবর পান, নগরীর ইসলামীয়া কলেজ কেন্দ্রের ব্যালট তখনই শেষ হয়ে গেছে। তখন তিনি ওই কেন্দ্রে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে তিনি প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে ব্যালট শেষ হওয়ার ব্যাপারে জানতে চান। কিন্তু প্রিসাইডিং অফিসার তাঁর কথার কোনো জবাব দেননি। এরপর তিনি ওই কেন্দ্রের মাঠে বশে পড়েন। বিকেল ৪টায় ভোট শেষ হওয়ার পরও তিনি সেখানেই বসে ছিলেন।

ইসলামীয়া কলেজ মাঠে বুলবুলের বসে পড়ার খবর শুনে এ সময় সেখানে গণমাধ্যম কর্মী, বিএনপির নেতা-কর্মী, পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন জড়ো হতে থাকে। এ সময় সেখানে ভোট গ্রহণ স্থগিত হয়ে যায়।

এ ক্ষেত্রে বুলবুলের অভিযোগ, ব্যালট না থাকার কারণেই ভোট স্থগিত করা হয়েছে। রাতেই ব্যালট পেপারে সিল মারা হয়েছিল। তাই ব্যালট শেষ হয়ে গেছে।

তবে বেলা ২টার দিকে ইসলামীয়া কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তখন বুলবুল বলেন, ‘বাইরে থেকে ব্যালট এনে ভোট গ্রহণ শুরু করা হল।’

বেলা ১১টার পর থেকে ভোট গ্রহণের শেষ পর্যন্ত বুলবুল ইসলামীয়া কলেজ মাঠে অবস্থান করায় তিনি আর তাঁর নিজের কেন্দ্র নগরীর ফলে বুলবুল তাঁর কেন্দ্র স্যাটেলাইট উচ্চবিদ্যালয়ে ফিরে আসতে পারেননি। ফলে তাঁর আর ভোট দেওয়াও হয়নি।

ভোট না দেওয়ার ব্যাপারে বুলবুল বলেন, কে মেয়র নির্বাচিত হবেন তা আগেই নির্বাচন কমিশনার ঠিক করে রেখেছেন। এ জন্য তিনি ভোট দিতে যাননি।

বুলবুলের অভিযোগের ব্যাপারে ইসলামীয়া কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল সাফি বলেন, ‘বুলবুলের অভিযোগ সঠিক নয়।’