স্কুলছাত্রী হত্যায় তিনজন গ্রেপ্তার

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী কৃত্তিকা ত্রিপুরাকে (১১) হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, বড় মেরুং এলাকার শাহ আলম (৩৩), নজরুল ইসলাম (৩২) ও মধ্য বোয়ালখালী এলাকার মনির হোসেন (৩৮)।

দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আব্দুস সামাদ জানিয়েছেন, আজ সোমবার দুপুরে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি মাহেন্দ্রও জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্র বলছে, গ্রেপ্তার তিনজন গত শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মাহেন্দ্র নিয়ে ওই নয় মাইল এলাকায় ছিলেন এবং সেময় তিনজনেই মদপান করেন। মাতাল অবস্থায় তাঁরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা নয়মাইল এলাকায় মদপানের কথা স্বীকার করলেও হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি এখনো স্বীকার করেনি। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এস এম সালাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্কুলছাত্রী হত্যার ঘটনাটির বিষয়ে পুলিশি তদন্ত অব্যাহত আছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি তদারকি করছেন। কিছু আলামতও উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে পুলিশ অতি গুরুত্ব দিয়ে মাঠে তদন্তের কাজ করছে।’

অপরদিকে স্কুলছাত্রী হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ) আজ উপজেলা সদর থেকে আট কিলোমিটার দূরে পুকুরঘাট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। সমাবেশে বক্তব্য দেন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের (ডিওয়াইএফ) দীঘিনালা উপজেলা শাখার অর্থ সম্পাদক নিরঞ্জন ত্রিপুরা, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) দীঘিনালা উপজেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক সুমেশ চাকমা, পিসিপির দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজ শাখার সভাপতি রিটেন চাকমা প্রমুখ।

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার নয় মাইল এলাকায় গত শনিবার ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ওই দিন রাত সাড়ে ১০টায় লাশটি উদ্ধার করে। ঘটনার পরদিন রোববার স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা মামলা করেন।