রাজশাহী-বরিশালে জয়ের পথে আ.লীগ

এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ
এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ

রাজশাহী ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ের পথে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। রাজশাহীতে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও বরিশালে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী থেকে এগিয়ে আছেন।

বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত কেন্দ্রভিত্তিক অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে দেখা গেছে, এই দুই সিটিতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী লিটন ও সাদিক বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও মজিবর রহমান সরোয়ারের প্রাপ্ত ভোট থেকে বহু ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন।

রাজশাহী সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন পেয়েছেন ১ লাখ ৬৬ হাজার ৩৯৪ ভোট। অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী বুলবুল পেয়েছেন ৭৮ হাজার ৪৯২ ভোট। রাজশাহীতে মোট ভোটকেন্দ্র ১৩৮টি। অনানুষ্ঠানিক ভাবে ১৩৮টি কেন্দ্রের ফলাফলই পাওয়া গেছে।

আর বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাদিক ৫১টি কেন্দ্রে মোট ভোট পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৫০৮। আর বিএনপির প্রার্থী মজিবর রহমান পেয়েছেন ৬ হাজার ৫৯৯ ভোট। বরিশালে মোট ভোটকেন্দ্র ১২৩টি। এই সিটিতে বিএনপির প্রার্থী ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার ৪ ঘণ্টা পর ভোট বর্জন করেন।

অনানুষ্ঠানিক উৎস থেকে পাওয়া ভোটের আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। ভোট ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষিত ফলই চূড়ান্ত। তবে বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া ফলাফলের সঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষিত ফলাফলে পার্থক্য হয় না। কখনো কখনো প্রাপ্ত ভোটের সামান্য হেরফের হয়, যদিও তা জয়-পরাজয় নির্ধারণে ভূমিকা রাখে না।

অনানুষ্ঠানিক ফলাফলের পাশাপাশি রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষিত আনুষ্ঠানিক ফলাফলেও এই দুই সিটিতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন। রাজশাহীতে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে নয়টি কেন্দ্রের ফল। এতে নৌকা প্রতীক পেয়েছে ৯ হাজার ৪৯৭ ভোট। আর ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছে ৩ হাজার ৪১৮ ভোট।

অন্যদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১০ কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক ফল পাওয়া গেছে। এতে নৌকা প্রতীক পেয়েছে ৭ হাজার ৩২৪ ভোট। আর ধানের শীষ পেয়েছে ২ হাজার ৩৪৪ ভোট।