পরিবেশ অধিদপ্তরে জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে অনিয়ম হয়েছে: সংসদীয় কমিটি

জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি
জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি

পরিবেশ অধিদপ্তরে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে অনিয়ম হয়েছে বলে মনে করছে সংসদীয় কমিটি। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

আজ মঙ্গলবার সংসদ ভবনে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, গত বছরের ২৯ নভেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তরে ৪৯ জন অফিস সহায়ক, ১২ জন নিরাপত্তাকর্মী ও ৬ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। পরে পিমা অ্যাসোসিয়েটস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ ৬৭ জন জনবল নিয়োগের চুক্তি হয়। চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। কমিটির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগপ্রক্রিয়া স্থগিত করে পরিবেশ অধিদপ্তর।

গত মার্চে মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব এস এম মনজুরুল হান্নান খানের নেতৃত্বে অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, নিয়োগপ্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়ম হয়নি। চাকরির জন্য কারও কাছে অর্থ দাবি করারও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পরে আবার নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয়। ২৯ জুলাই জনবল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ৬৭ প্রার্থীর তালিকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করে।
আজ মঙ্গলবার সংসদীয় কমিটি নিয়োগপ্রক্রিয়ায় জড়িত কয়েকজনের সাক্ষাৎকার নেয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি হাছান মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, তদন্ত কমিটি বলেছে, কোনো অনিয়ম হয়নি। কিন্তু চাকরি দেওয়ার নামে টাকা দাবি করার প্রমাণ রয়েছে। অর্থ দাবি করা হয়েছে—এমন কল রেকর্ড কমিটির বৈঠকে শোনানো হয়েছে। ১১ জন চাকরিপ্রার্থী সংসদীয় কমিটির কাছে বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, চাকরির জন্য তাঁদের কাছে টাকা দাবি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি শুধু চারজনের বক্তব্য রেকর্ড করে। সংসদীয় কমিটি মনে করছে, যাঁরা ওই অভিযোগ তদন্ত করেছিলেন, তাঁরা ‘বায়াজড’ ছিলেন। সংসদীয় কমিটি মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছে।

সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে কমিটি পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে পলিথিন তৈরির কাঁচামাল আমদানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ এবং জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সুপারিশ করে।

কমিটির সভাপতি হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, নবী নেওয়াজ, মো. ইয়াহহিয়া চৌধুরী ও টিপু সুলতান বৈঠকে অংশ নেন।