আতিফ হত্যার ঘটনায় সিআইডিকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ

মো. আতিফ শেখ
মো. আতিফ শেখ

চট্টগ্রামে ভারতীয় শিক্ষার্থী মো. আতিফ শেখ খুনের তদন্তে হত্যার কারণ চিহ্নিত না হওয়ায় মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু সালেম মোহাম্মদ নোমান স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে এ নির্দেশ দেন। ২২ জুলাই পিবিআই নিহত আতিফের সহপাঠী মাইসনাম উইনসনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। কিন্তু কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড, তা তদন্তে বেরিয়ে আসেনি।

২০১৭ সালের ১৪ জুলাই রাতে নগরের আকবরশাহ থানার আবদুল হামিদ সড়কের লেকভিউ সোসাইটির একটি আবাসিক ভবনের পঞ্চমতলার ফ্ল্যাটে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয় আতিফকে। ওই কক্ষ থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মাইসনাম উইনসন সিংকে উদ্ধার করা হয়। তাঁরা দুজনই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (ইউএসটিসি) এমবিবিএস চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। আতিফ খুন হওয়ার চার দিন পর ১৮ জুলাই তাঁর বাবা আবদুল খালেক বাদী হয়ে নগরের আকবরশাহ থানায় আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আসামিদের মধ্যে ছয়জন ভারতীয়, দুজন বাংলাদেশি। আট আসামির মধে৵ দুই ভারতীয় গুরঙ্গ নিরাজ ও মাইসনাম উইনসনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

দুই দফা রিমান্ডে নিয়েও কোনো তথ্য না পাওয়ায় ৭ আগস্ট মাইসনাম উইনসনের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রামের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। এরপর ১০ আগস্ট চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে উইনসনকে পরীক্ষার নির্দেশ দেন আদালত। পরীক্ষা শেষে চিকিৎসকেরা প্রতিবেদন দেন উইনসনের স্মৃতিভ্রম হয়নি। ইচ্ছা করেই ঘটনা চেপে যাচ্ছেন। পরে তদন্ত কর্মকর্তা আতিফ শেখ খুনে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরির বাঁটে যে হাতের ছাপ আছে, তার সঙ্গে উইনসনের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকায় সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে আবেদন করা হয়। গত মার্চ মাসে দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, এতে উইনসনের সঙ্গে ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরির বাঁটের ছাপ মিলে যায়।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, পিবিআইয়ের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে আদালত সিআইডিকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।