নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে বামদের ৫৪ দফা প্রস্তাব

বাম গণতান্ত্রিক জোট নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য ৫৪ দফা সুপারিশ করেছে। জোট বলেছে, দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই। তারা সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে ।

আজ রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং বিদ্যমান নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কার’ এর প্রস্তাবনা সম্পর্কে মতবিনিময় সভায় জোট এই প্রস্তাব তুলে ধরে। বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত মতবিনিময় সভায় জোটের শরিক দলের নেতারা ছাড়াও আইনজীবী ও সাংবাদিক কথা বলেন।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, সংসদ রেখে অবাধ নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং নির্বাচন কমিশনকে ঢেলে সাজাতে হবে। নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে হলে কম আয়ের মানুষকে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সে জন্য জামানতের অর্থের পরিমাণ কমাতে হবে।

বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেনি, শুধু সরকারের আস্থা অর্জন করেছে। বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হলে ক্ষমতাসীনেরা ২৫০ থেকে ২৮০টি আসন পাবে, এটা গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাবগুলো পড়ে শোনান। এতে ১৬টি বিষয়ে মোট ৫৪টি সংস্কার প্রস্তাব আছে। ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী শাসিত সরকার ব্যবস্থার মধ্যে আছি’ উল্লেখ করে প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান বলেন, নির্বাচন এলেই নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের কথা বলা হয়। সুশাসন ছাড়া সুনির্বাচন সম্ভব না।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়কারী সাইফুল হকের সভাপতিত্বে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোশাররফ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা ফিরোজ আহমেদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদের (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা হামিদুল হক, সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।