বিমানবন্দরে ধরা পড়ল বানর, ময়ূর, টিয়া

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাখিসহ ৭৬৯টি বন্য প্রাণী আটকের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সঙ্গে অভিযান চালিয়ে পশুপাখির এই চালান জব্দ করেছে বন অধিদপ্তরের বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। এসব পশুপাখির আনুমানিক মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা বলে জানান সহকারী বন সংরক্ষক আবু নাসের মহসিন হোসেন।

আবু নাসের মহসিন হোসেন আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে করে গতকাল এসব বন্য প্রাণী ২৫টি বক্সে করে ঢাকায় আসে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজে এসব বক্স রাখা হয়। বিমানবন্দরের কার্যক্রম শেষ করে গোপনে এসব প্রাণী বের করার চেষ্টা চলছিল। তবে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিমানবন্দরে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহযোগিতায় অভিযান চালায় বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। অভিযান চলার সময় কার্গো ভিলেজ থেকে ২৫টি বক্স পাওয়া যায়। এসব বক্সের ভেতর থেকে ১৫টি ম্যাকাউ, ৩০টি আফ্রিকান গ্রে প্যারট, ৬৫২টি লাভ বার্ড, ৮টি ময়ূর, ১২টি কমন মারমুসেট মাংকি, ২টি লেমুর, ৩৭টি সানকুনিওর, ৯টি গ্রে কুনিওর ও ৪টি ব্ল্যাক ক্যাপ কুনিওর।

জব্দ হওয়া বন্য প্রাণীগুলো দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামে ঢাকায় আনা হয়েছিল বলে জানান শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকার দক্ষিণ গোরান এলাকার ইনফোবিজ ইন, ভাটারার বিডি ইনোভেটিভ লাইভস্টকস এবং উত্তরা এলাকার সজীব এন্টারপ্রাইজ নামের তিনটি প্রতিষ্ঠান এসব প্রাণী আমদানি করেছিল। আন্তর্জাতিক কনভেনশন সাইটিস অনুসারে বিপন্ন তালিকাভুক্ত প্রাণীদের আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নন-ডেট্রিমেন্টাল রিপোর্ট ও বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ মোতাবেক জীবন্ত পশুপাখি বন অধিদপ্তরের অনাপত্তি ছাড়াই আমদানি করার কারণে এই চালান আটক করা হয়। আমদানিকারকের বিরুদ্ধে শুল্ক আইনসহ অন্যান্য আইন লঙ্ঘনের কারণে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজ এ প্রাণীগুলোকে গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে পাঠানো হয়েছে।