ভারতে পাচারকালে ৭৫ কেজি সোনাসহ তিন ব্যক্তি আটক

প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

ভারতে পাচারের সময় যশোরের শার্শা উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া ও শিকড়ি এলাকা থেকে প্রায় ৭৫ কেজি সোনার বারসহ তিন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল আটটার মধ্যে পৃথক অভিযান চালিয়ে এই সোনা উদ্ধার করা হয়। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৪৯ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা এই অভিযান চালান।

বিজিবি জানায়, উদ্ধার হওয়া সোনার দাম ৩৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।

আটক তিন ব্যক্তি হলেন শার্শা উপজেলার শিকারপুর গ্রামের মো. মহিউদ্দিন এবং বেনাপোলের বাসিন্দা সফুরা খাতুন ও ইসরাফিল।

বিজিবি ৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল হক বলেন, ভারতে পাচারের সময় পৃথক অভিযান চালিয়ে ৭৪ কেজি ৭৫৯ গ্রাম ওজনের ৬৩৬টি সোনার বারসহ তিন ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তাঁরা সোনা পাচারের বাহক হিসেবে কাজ করছিলেন।

বিজিবি সূত্র জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে শার্শা উপজেলার শিকারপুর সীমান্তের মেইন পিলার ২৯ থেকে প্রায় ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নারিকেলবাড়িয়া এলাকায় বিজিবি অভিযান চালায়। এ সময় তিনটি বস্তা নিয়ে তিন ব্যক্তি ভারতের অভ্যন্তরে ঢোকার চেষ্টা করেন। বিজিবির সদস্যরা তাঁদের চ্যালেঞ্জ করলে বস্তা ফেলে দুই ব্যক্তি পালিয়ে যান। এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তিনটি বস্তা থেকে ৭২ কেজি ৭৫৯ গ্রাম ওজনের ৬২৪টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। আটক হওয়া মহিউদ্দিনের কাছে একটি রামদা পাওয়া যায়।

বিজিবি জানায়, আজ সকাল আটটার দিকে শার্শা উপজেলার শিকড়ি সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভ্যানে করে দুই ব্যক্তি সীমান্তের দিকে যাচ্ছিলেন। বিজিবির সদস্যরা তাঁদের গতিরোধ করেন। এ সময় তাঁরা তাঁদের কাছে থাকা একটি ব্যাগ ফেলে দেন। ব্যাগ তল্লাশি করে ২ কেজি ওজনের ১১টি সোনার বার পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সফুরা খাতুন ও ইসরাফিলকে আটক করা হয়।

বিজিবি ৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আরিফুল হক বলেন, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চোরাচালানের দুটি মামলা দেওয়া হবে। তাঁদের বেনাপোল বন্দর থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে। এ ছাড়া উদ্ধার হওয়া সোনাও থানায় জমা দেওয়া হবে।