ইতিহাসের রোজ গার্ডেন

>রোজ গার্ডেন। নামে গার্ডেন বা বাগান হলেও এটি মূলত পুরান ঢাকার টিকাটুলিতে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক বাগানবাড়ি। বাংলাপিডিয়া থেকে জানা যায়, ১৯৩০ সালের দিকে ঋষিকেশ দাস নামের এক ব্যবসায়ী ২২ বিঘা জমির ওপর এই দ্বিতল ভবনটি নির্মাণ করেন। ভবনের বাগানে গোলাপের প্রাচুর্য থাকায় বাড়ির নাম হয় ‘রোজ গার্ডেন’। অভিনব নির্মাণশৈলীর কারণে এটি হয়ে ওঠে ঢাকার অন্যতম মনোরম ভবন। ঋষিকেশ দাস ১৯৩৬ সালের দিকে ব্যবসায়ী খান বাহাদুর কাজী আবদুর রশীদের কাছে বাড়িটি বিক্রি করে দেন। বাড়ির নাম রাখা হয় ‘রশীদ মঞ্জিল’। কিন্তু ‘রোজ গার্ডেন’ নামটি মানুষের মুখে মুখে রয়েই যায়। ঐতিহাসিকভাবেও ভবনটি গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন এই বাড়িতেই পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ (বর্তমান আওয়ামী লীগ) গঠনের পরিকল্পনা হয়। ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর প্রাসাদটিকে সংরক্ষিত ভবন হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। ৮ আগস্ট ৩৩১ কোটি ৭০ লাখ টাকায় বাড়িটি কেনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ঐতিহাসিক এই বাড়িটির ছবিগুলো শুক্রবার তোলা।
প্রায় ৭ হাজার বর্গফুট আয়তনের প্রাচীরবেষ্টিত পশ্চিমমুখী এই ভবনের উচ্চতা প্রায় পঁয়তাল্লিশ ফুট।
প্রায় ৭ হাজার বর্গফুট আয়তনের প্রাচীরবেষ্টিত পশ্চিমমুখী এই ভবনের উচ্চতা প্রায় পঁয়তাল্লিশ ফুট।
বিভিন্ন সময়ে এই ভবনে বহু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসব সভায় ছিলেন প্রখ্যাত সব রাজনীতিকেরা।
বিভিন্ন সময়ে এই ভবনে বহু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসব সভায় ছিলেন প্রখ্যাত সব রাজনীতিকেরা।
ভবনের মূল বারান্দার সঙ্গে রয়েছে অর্ধচন্দ্রাকৃতির ব্যালকনি। এর অবস্থান প্রবেশপথের তিনটি খিলানের উপরে।
ভবনের মূল বারান্দার সঙ্গে রয়েছে অর্ধচন্দ্রাকৃতির ব্যালকনি। এর অবস্থান প্রবেশপথের তিনটি খিলানের উপরে।
ভবনের বিভিন্ন অংশে কাঠ, রঙিন কাচ ও লোহার সমন্বয়ে তৈরি এবং সেগুলি জটিল জ্যামিতিক নকশা, লতাপাতা ও বিভিন্ন প্রাণীর মোটিফে অলংকৃত।
ভবনের বিভিন্ন অংশে কাঠ, রঙিন কাচ ও লোহার সমন্বয়ে তৈরি এবং সেগুলি জটিল জ্যামিতিক নকশা, লতাপাতা ও বিভিন্ন প্রাণীর মোটিফে অলংকৃত।
ভবনের পশ্চিম দিকের নিচের অংশ।
ভবনের পশ্চিম দিকের নিচের অংশ।
ভবনের বিভিন্ন অংশ নানা স্থাপত্যরীতির পরিচায়ক।
ভবনের বিভিন্ন অংশ নানা স্থাপত্যরীতির পরিচায়ক।
ভবনের পেছনের, অর্থাৎ পূর্বদিকের ছাদের একাংশ।
ভবনের পেছনের, অর্থাৎ পূর্বদিকের ছাদের একাংশ।