আ.লীগের দুই নেতা প্রার্থী বিএনপির ভয় মামলা নিয়ে

কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ থেকে দুই নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ কারণে দলের নেতা-কর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত। অন্যদিকে বিএনপিতে একজন প্রার্থী থাকলেও দলের নেতা-কর্মীরা মামলা নিয়ে ভয়ে আছেন। এ উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায় আওয়ামী লীগ থেকে চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী হয়েছেন। তাঁরা হলেন দেবীদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও গতবারের নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান এ কে এম সফিকুল আলম এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সীর ছোট ভাই এ এফ এম তারেক। গত ২৭ জানুয়ারি এ কে এম সফিকুল আলমকে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে সমর্থন দেয়। পরদিন কুমিল্লার একটি হোটেলে বসে এ এফ এম তারেককে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেন ফখরুল ইসলাম মুন্সী। এ এফ এম তারেক কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনের স্বতন্ত্র সাংসদ রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের ছোট চাচা। নির্বাচনে এ কে এম সফিকুল আলম আনারস প্রতীক নিয়ে এবং এ এফ এম তারেক দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।
এ কে এম সফিকুল আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমাকে সমর্থন দিয়েছে। আমিই একমাত্র দলীয় প্রার্থী। এ এফ এম তারেক হংকং শাখা বিএনপির সহসভাপতি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’ অভিযোগ প্রসঙ্গে এ এফ এম তারেক বলেন, ‘হংকংয়ে বিএনপির কোনো পদে আমি নেই। দেবীদ্বারেও আওয়ামী লীগের কোনো পদে নেই। তবে আমাদের পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছে। তাই আমি প্রার্থী হয়েছি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ী হব।’
দেবীদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নুল আবদীন ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান বলেন, দেবীদ্বারে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী এ কে এম সফিকুল আলম।
বিএনপি চেয়ারম্যান পদে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. রুহুল আমিনকে সমর্থন দিয়েছে। তাঁর টেলিফোন প্রতীকের পক্ষে কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনের বিএনপির সাবেক সাংসদ মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী প্রচারণায় নেমেছেন। ২০ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে একটায় দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদ ফটকের সামনে সাবেক সাংসদ এবং চেয়ারম্যান প্রার্থী রুহুল আমিনের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ওই ঘটনায় অস্ত্র ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে সাবেক সাংসদসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৫৩ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা করেন পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন। এর পর থেকে বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী আত্মগোপনে থেকে কাজ করছেন।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীর বিজয় ঠেকাতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর অনুসারীরা সাবেক সাংসদসহ দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। এরপরও বিএনপির প্রার্থী জয়ী হবে।’ রুহুল আমিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগে প্রার্থী দুজন, এটা বিএনপির জন্য বাড়তি সুবিধা। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে অবশ্যই জয়ী হব।’