তরুণদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতের তাগিদ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে পরিবারে, সড়কে, নগরে ও সাইবার ক্ষেত্রগুলোতে তরুণদের নিরাপত্তা দিতে হবে। তাঁদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। আজকের শিশু-কিশোর ও তরুণদের হাত ধরেই আগামীর বাংলাদেশ তৈরি হবে। ফলে তাঁদের বিচরণের ওই সবগুলো ক্ষেত্র নিরাপদ না হলে সুন্দর বাংলাদেশ গঠন করা যাবে না। 

ডেইলি স্টার ও জাতিসংঘ জনসংখ্যা কর্মসূচি (ইউএনএফপিএ) আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেছেন। আজ রোববার ডেইলি স্টার ভবনে আয়োজিত ওই বৈঠকের বিষয় ছিল ‘সেফ স্পেস ফর ইয়ুথ’। বক্তারা দেশে তরুণদের মতপ্রকাশের ওপর নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরে বলেন, তরুণদের মতামতকে বিকশিত হতে না দিলে তাঁদের প্রতিভাকে দেশের স্বার্থে কাজে লাগানো যাবে না।

বৈঠকের শুরুতে ও শেষে বক্তব্য দেন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম। তিনি বলেন, ডেইলি স্টার তরুণদের সমস্যাকে সব সময় পাঠকের সামনে তুলে ধরতে চায়। এ বিষয়ে আরও সংবাদ প্রকাশের ব্যাপারেও ডেইলি স্টার আগ্রহী। তিনি তরুণদের এই দৈনিকে তাঁদের মতামত তুলে ধরতে আরও বেশি করে আহ্বান জানান।

বাংলাদেশে অবস্থিত নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন জেরিওন স্টিগস বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে তরুণ ও কিশোরেরা তাদের নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলন করে দেখিয়ে দিয়েছে যে তাদের জন্য কোথায় কতটুকু নিরাপত্তা আছে বা নেই।

জাতিসংঘের শ্রমবিষয়ক সংস্থা আইএলও এর উদ্যোক্তা কর্মসূচির উপদেষ্টা সৈয়দ ফজলে নিয়াজ বলেন, বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্রগুলোতে নিরাপদ পরিবেশের সংকট আছে।

জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করবি রাখসান্দ বলেন, দেশের জনসংখ্যার বড় অংশ কিশোর ও তরুণ। এদের ভালোমতো গড়ে তোলার জন্য দেশে নানা ধরনের উদ্যোগ, যেমন মাল্টি মিডিয়া শ্রেণিকক্ষসহ নানা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভালো শিক্ষকের অভাব প্রকট। এ ছাড়া দেশে যে বাজেট হয়, তাতে তরুণদের উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট বরাদ্দ থাকে না।

ডেইলি স্টারের সাংবাদিক এলিটা করিমের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে বিভিন্ন দেশি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।