টিকিট কাউন্টারে সৌরবিদ্যুৎ

হাতিরঝিলের মেরুল বাড্ডা বাস কাউন্টারে বসানো হয়েছে সৌর প্যানেল। এতে কাউন্টারে বাতি জ্বলছে, ঘুরছে পাখা।  ছবি: প্রথম আলো
হাতিরঝিলের মেরুল বাড্ডা বাস কাউন্টারে বসানো হয়েছে সৌর প্যানেল। এতে কাউন্টারে বাতি জ্বলছে, ঘুরছে পাখা। ছবি: প্রথম আলো

রাজধানীর হাতিরঝিলে ২০১৬ সাল থেকে চলছে চক্রাকার বাস সার্ভিস। এগুলোর টিনের তৈরি টিকিট কাউন্টারে বৈদ্যুতিক সংযোগ নেই। সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করে এসব ছোট কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতার জন্য একটি ফ্যান ও রাতে বাতি জ্বালানোর ব্যবস্থা করছে এইচ আর ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি।

চক্রাকার বাস সার্ভিস চালু হওয়ার পর থেকে ছোট ও পুরোনো টিনের কাউন্টারগুলোতেই টিকিট বিক্রি হচ্ছে। বৈদ্যুতিক সংযোগ না থাকায় ব্যাটারিচালিত পাখা ও বাতি ব্যবহার করা হতো। তবে প্রায় এক বছর ধরে প্রতিটি কাউন্টারের ওপরে একটি ছোট সৌর প্যানেল ব্যবহার করা হচ্ছে। এ থেকে উৎপাদিত ৩০-৪০ ওয়াট বিদ্যুতের সাহায্যে বাতি ও পাখা চলে। হাতিরঝিলের মেরুল বাড্ডা অংশে কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতা নুপুর আক্তার বলেন, দিনের বেলায় কাউন্টারের ভেতর প্রচণ্ড গরম হয়। দিনে সৌরবিদ্যুতে একটি ছোট পাখা চলে।

হাতিরঝিল প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রায় আড়াই বছর আগে তাদের উদ্যোগে এখানে সবুজ রঙের ১০টি যাত্রীছাউনি স্থাপন করা হয়। এখন সেখানে ৮টি ছাউনি চালু রয়েছে। এসব যাত্রীছাউনির দুই পাশে টিকিট কাউন্টার আর মাঝখানে তিনটি কাচ দিয়ে ঘেরা বিজ্ঞাপনের স্ট্যান্ড। টিকিট কাউন্টার বা বিজ্ঞাপনের স্ট্যান্ডে বিদ্যুৎ-সংযোগ নেই। অব্যবহৃত স্ট্যান্ডগুলোতে পানি ঢুকে মরিচা ধরে গেছে। আর টিকিট কাউন্টারগুলোও ব্যবহার হয় না।

হাতিরঝিলের এফডিসি মোড়ের লাইনম্যান নুরুল করিম বলেন, হাতিরঝিলের চক্রাকার বাসের সংখ্যা আগের চেয়ে বেড়ে ১৪টি হয়েছে। যাত্রীর সংখ্যাও বেড়েছে। সকাল ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এই কাউন্টারগুলো চালু থাকে।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) হাতিরঝিল প্রকল্পের পরিচালক জামাল আক্তার ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ছোট টিকিট কাউন্টারগুলো সাময়িকভাবে আছে। কাউন্টারে সড়কবাড়ির আলো যায়। বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে মিটার যুক্ত করার বিষয় আছে। কাউন্টারগুলো চালু করা হলে সেখানে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়া হবে। সাময়িকভাবে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে।