ভেড়ামারায় কিশোরীকে প্রাপ্তবয়স্ক দেখাতে তরুণের জন্মসনদ ব্যবহার

সাব্বির হোসেন
সাব্বির হোসেন

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় এক কিশোরীকে প্রাপ্তবয়স্ক দেখিয়ে বিয়ে দিতে অভিনব পদ্ধতি অবলম্বনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় চেয়ারম্যান বলছেন, বিয়ের ক্ষেত্রে কিশোরীর যে জন্মনিবন্ধন সনদ দেখানো হয়েছে তা মেয়ের নয়, অন্য এক তরুণের।

আজ বৃহস্পতিবার ভেড়ামারার ধরমপুর ইউনিয়নে এই জালিয়াতির বিষয়টি ধরেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল মারুফ। গতকাল বুধবার ২০ বছর বয়সী এক তরুণের সঙ্গে ওই কিশোরীর বিয়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজী সাব্বির হোসেনকে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেন।

ইউএনও সোহেল মারুফ প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রশাসনিক কাজে তিনি ধরমপুর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে পার্শ্ববর্তী জুনিয়াদহ ইউনিয়নে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ওই বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে পান। কৌতুহলবশত তিনি অনুষ্ঠানে গিয়ে বর-কনের খোঁজখবর নেন। এ সময় জালিয়াতির বিষয়টি বেরিয়ে আসে।

ইউএনও সোহেল মারুফের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কিশোরীর যে জন্মসনদটি বিয়েতে ব্যবহার করা হয় তা ‘জনি আলী’ নামের এক তরুণের। তাতে লিঙ্গীয় পরিচয় ‘পুরুষ’ ও বয়স ১৯ লেখা ছিল। ইউএনওর সন্দেহ ঘনীভূত হয় এবং তিনি সংশ্লিষ্ট কাজীকে জেরা করলে আসল বিষয়টি বেরিয়ে আসে। পরে কাজী সাব্বির হোসেনকে দশ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ইউএনও সোহেল মারুফ বলেন, সাব্বিরের পরামর্শেই অভিনব এই জালিয়াতি করা হয়।