ভারতের কারাগারে কুতুবদিয়ার ১৭ জেলে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার একটি মাছ ধরার ট্রলারের ১৭ জন জেলে এখন ভারতের কারাগারে বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন। খুলনার সুন্দরবন উপকূলে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়। এরপর ভাসতে ভাসতে ট্রলারটি ভারতীয় জলসীমায় চলে গেলে সেখানকার কুলতলী থানার পুলিশ জেলেদের আটক করে কারাগারে পাঠায়।

ট্রলারের মালিক কুতুবদিয়ার বাসিন্দা মোজাম্মেল হক বলেন, ১৭ জন জেলে এফবি আব্দুল জব্বার শাহ নামক ট্রলারটি নিয়ে খুলনার সুন্দরবন উপকূলে মাছ ধরতে যান। ৮ আগস্ট ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে স্রোতের টানে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়ে। এ সময় ভারতীয় জেলেরা ট্রলারসহ ১৭ বাংলাদেশি জেলেকে ভারতের স্থলভাগে পৌঁছে দেন। এরপর সেখানকার পুলিশ জেলেদের আটক দেখিয়ে কারাগারে পাঠায়। ১৪ আগস্ট ভারতীয় বোটমালিক লাল মোহন দাশ ১৭ জেলের খবরটি মুঠোফোনে তাঁকে (ট্রলার মালিককে) নিশ্চিত করেন। এ ব্যাপারে কুতুবদিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

ভারতে বন্দী জেলেরা হলেন মামুনুর রশিদ (ট্রলারের সারেং), জেলে গিয়াস উদ্দিন, নুরুচ্ছফা, আবদুস শুক্কুর, আবদুল করিম, রফিক উদ্দিন, মো. গিয়াস উদ্দিন, আবদুল মোনাফ, নুরুল আবছার, রহমত উল্লাহ, মনির উল্লাহ, আবদুল মালেক, নুরুল হোছাইন, রবিউল বাশার, সাইফুল ইসলাম, মুহাম্মদ এরফান ও সাদ্দাম হোছাইন। তাঁরা সবাই কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশীখালী ও উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের বাসিন্দা।

উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধুরী বলেন, ভারতে বন্দী জেলেদের জন্য তাঁদের পরিবার ও স্বজনেরা চিন্তিত। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল ফেরদৌস প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশি ১৭ জন জেলে এখন ভারতের কারাগারে আছেন। এ ব্যাপারে ১৪ আগস্ট ট্রলার মালিক মোজাম্মেল হক কুতুবদিয়া থানায় একটি জিডি করেছেন। জিডিতে উল্লেখ আছে, ইঞ্জিন বিকল হয়ে ট্রলারসহ ১৭ জেলে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।