নাব্যতা সংকটের সমাধান, চলছে ১৭টি ফেরি

প্রথম অালো ফাইল ছবি
প্রথম অালো ফাইল ছবি

নাব্যতা সংকটের কারণে ১৪ দিন ধরে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। শনিবার সকাল থেকে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথের নাব্যতা সংকট কেটে গেছে। বর্তমানে এই নৌপথে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। তবে ঈদের কারণে এ নৌপথে যাত্রীবাহী বাস ও গরুবোঝাই ট্রাকের চাপ বেড়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ কাঁঠালবাড়ি ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথের লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে নাব্যতা সংকট দেখা যায়। নাব্যতা সংকট দূর করতে নদীতে বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগ ৭টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু অপসারণের কাজ শুরু করে। টানা ১৪ দিন ড্রেজিং করার পরে শনিবার সকাল থেকে চ্যানেলের পলি মাটি অপসারণ ও চ্যানেলের পরিধি বৃদ্ধি করা হয়। ফলে এই নৌপথে ১৭টি ফেরি চলাচল শুরু করে।
ড্রেজিং বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের লৌহজং চ্যানেলে কোনো নাব্যতা সংকট নেই। এ নৌপথে এখন আর পলি মাটির পড়ার সমস্যা নাই। তবে চ্যানেলের মুখে চর ভেঙে আসা মাটি জমা হলে নাব্যতা সংকটের তৈরি হয়। তবে আশা করছি ঈদের আগে ও পরে এই চ্যানেলে নাব্যতা সংকট থাকবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি ফেরি দিয়ে চলাচলে ৮ ফুট গভীরতা দরকার। বর্তমানে আমাদের চ্যানেলে সর্বোচ্চ ১৫ ফুট গভীরতা রয়েছে। তবে চর ভেঙে চ্যানেলের মুখে মাটি জমা হলে এর গভীরতা কমতে পারে। এই নৌপথে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করতে আমাদের আরও একটি চ্যানেলে আজ (শনিবার) থেকে ড্রেজিং কাজ শুরু হয়েছে।’
শনিবার বিকেলে কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঘাটে গরুবোঝাই ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস, ছোট যানবাহন লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। কাঁঠালবাড়ি ঘাটের চারটি ঘাটের সংযোগ সড়কেই যানবাহনরে চাপ রয়েছে। প্রতিটি ঘাটে অন্তত শতাধিক যানবাহন রয়েছে। এ ছাড়া টার্মিনালে আটকা রয়েছে পণ্যবাহী ট্রাক।
স্পিডবোট ও লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, শিমুলিয়া থেকে লঞ্চে ও স্পিডবোটে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে আসছে। আর এ ঘাট থেকে প্রায়ই লঞ্চগুলো যাত্রীশূন্য শিমুলিয়া ঘাটে যাচ্ছে।
ঢাকা থেকে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে আসা যাত্রী সাওন হোসেন বলেন, ‘ফেরিতে চাপ বেশি দেখে লঞ্চে করে পদ্মা পার হলাম। যাত্রীর চাপ বেশি থাকলেও আসতে আমাদের তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। গোপালগঞ্জ যাব, চাহিদা অনুসারে তেমন বাস নেই। আবার বাসের ভাড়াও অনেক বেশি।’
আরেক যাত্রী কামরুল হাসান বলেন, ‘ফেরিতে ভালোই পার হয়েছি। বরিশাল যেতে হবে। যানবাহনের অবস্থা তেমন ভালো নয়। লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে বাসে উঠতে হয়েছে।’
কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ব্যবস্থাপক সালাম হোসেন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের ফেরি চলাচল স্বাভাবিক। এক ঘণ্টার মধ্যেই ফেরি শিমুলিয়া ঘাটে যেতে পারে। ঈদের আগে ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। পণ্যবাহী ট্রাকগুলো আটকা থাকলেও আশা করছি ঈদের আগেই এসব ট্রাক পারাপার করা হবে।’
কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ট্রাফিক পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কুশল কুমার সাহা বলেন, ‘ঘাটে যানবাহনের চাপ বেশি। আমাদের পুলিশের একাধিক সদস্য যানজট নিরসনে কাজ করছি। যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে আমরা প্রস্তুত আছি।’