ইস্টিশানের রেলগাড়িটা মানে না রে ঘড়ির কাঁটা

ঈদে ট্রেনের ছাদে ঘরমুখী মানুষের বিপজ্জনক যাত্রা। কমলাপুর রেলস্টেশন, ঢাকা, ২০ আগস্ট।  ছবি: সাজিদ হোসেন
ঈদে ট্রেনের ছাদে ঘরমুখী মানুষের বিপজ্জনক যাত্রা। কমলাপুর রেলস্টেশন, ঢাকা, ২০ আগস্ট। ছবি: সাজিদ হোসেন

টিকিট কাটতে হয়েছে বিপত্তি। ট্রেনে চড়েও স্বস্তি নেই। আজ সোমবার সকাল থেকে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের চাপ দেখা গেছে। ট্রেনের দেখা সময়মতো মেলেনি।

চট্টগ্রাম ও সিলেটগামী ট্রেনগুলো সময়মতো ঢাকা ছাড়ছে। শিডিউলে বিপর্যয় হয়েছে উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের ট্রেনযাত্রায়।

সকাল সোয়া নয়টায় ছাড়ার কথা ছিল লালমণি ঈদ স্পেশাল ট্রেনের। দুপুর ১২টা পর্যন্ত কমলাপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে আসেনি ট্রেনটি। একই অবস্থা রংপুর এক্সপ্রেসেরও। ট্রেনটির আজ সকাল নয়টায় আসার কথা ছিল। কিন্তু দুপুর ১২টায়ও দেখা পাওয়া যায়নি।

ঢাকা থেকে সকাল ৬টা ২০ মিনিটের দিকে খুলনার দিকে রওনা হওয়ার কথা ছিল সুন্দরবন এক্সপ্রেসের। এটি প্রায় দুই ঘণ্টা পর কমলাপুর রেলস্টেশন ছেড়ে যায় এটি।

সকাল ছয়টায় রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেসের ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেনটি কমলাপুর আসেই সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে। সকাল সোয়া নয়টায় ট্রেনটি ছেড়ে যায়। এ ছাড়া চিলাহাটির নীলসাগর এক্সপ্রেসের কমলাপুর ছাড়ার নির্ধারিত সময় ছিল সকাল আটটা। কিন্তু চার ঘণ্টা দেরি করে দুপুর ১২টায় ট্রেনটি ঢাকা ছাড়ে। দেওয়ানগঞ্জের তিস্তা এক্সপ্রেস সকাল সাড়ে সাতটার পরিবর্তে সাড়ে নয়টায় কমলাপুর ছেড়ে যায়।

কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকাল থেকে বেলা সোয়া দুইটা পর্যন্ত ২৯টি ট্রেন ঢাকা ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে ধূমকেতু, সুন্দরবন, নীলসাগর, রংপুর ও লালমণি ঈদ স্পেশাল দেরি করে ছেড়েছে।’ এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী থাকায় স্বাভাবিক গতি নিয়ে ট্রেন চলতে পারে না। এ কারণে ট্রেনগুলো দেরি করে গন্তব্যে পৌঁছায়। এসব ট্রেনের ঢাকায় ফিরে আসতেও দেরি হচ্ছে। এ জন্য উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ট্রেনের সময়সূচি ঠিক রাখা যাচ্ছে না।

ট্রেন দেরিতে ছাড়ায় অপেক্ষমাণ যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। এ জন্য কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড় রয়েছে বলে জানান ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন ফারুক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, যাত্রীরা ট্রেন ছাড়ার সময়সূচি অনুযায়ী কমলাপুর রেলস্টেশনে আসছেন। কিন্তু ট্রেনগুলো সময়মতো আসছে না। এ কারণে ছাড়তেও পারছে না। তাই যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড়।