সদরঘাটে লঞ্চসংকট, ব্যাকুল প্রতীক্ষায় যাত্রীরা

সদরঘাট টার্মিনালে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। দুপুর ১২টার পর থেকে আমতলী, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলাসহ সাতটি রুটে যাত্রীবাহী নৌযানসংকট দেখা দিয়েছে। অনেক যাত্রী নৌযান না পেয়ে পরিবার-পরিজনসহ লঞ্চের পন্টুনে অপেক্ষায় রয়েছেন।

পটুয়াখালীগামী যাত্রী বাহাদুর ব্যাপারী (৫৫) বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে টার্মিনালে এসেছি। পটুয়াখালী নৌপথে লঞ্চ না থাকায় পন্টুনে বসে পরিবার-পরিজন নিয়ে অপেক্ষা করছি।’

ঢাকা নদীবন্দর সূত্র জানায়, ভোর পাঁচটা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ৪১টি রুট থেকে ঢাকা নদীবন্দরে যাত্রীবাহী লঞ্চ এসেছে ৬৭টি আর ছেড়ে গেছে ৫৩টি।

নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক আবু জাফর হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘লঞ্চের যাত্রী পরিপূর্ণ হওয়ামাত্রই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত যাত্রী বহন রোধ করতে বিআইডব্লিউটিএ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে।

আবু জাফর বলেন, ‘যাত্রীবাহী লঞ্চের সংকট হয়নি। যেসব লঞ্চ গতকাল ছেড়ে গেছে, সেগুলো আসামাত্রই যাত্রীরা নিজ নিজ গন্তব্য যেতে পারবেন।’

ডিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার বিমান কুমার বলেন, বিশৃঙ্খলা রোধ করতে সদরঘাট এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যে লঞ্চ ছেড়ে গেছে, এতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ছিল। এমনকি আইন অমান্য করে লঞ্চের ছাদেও যাত্রী তোলা হচ্ছে।

অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার সদস্য আওলাদ হোসেন বলেন, লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া হচ্ছে না। লঞ্চের নির্ধারিত যাত্রী বহন করা হচ্ছে।