ঈদ বাজারে এমন মন্দাভাব কখনো দেখা যায়নি

রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি
রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, এক দশকের মধ্যে ঈদ বাজারে এমন মন্দাভাব আগে কখনো দেখা যায়নি। ব্যবসায়ীরা দোকানে ঈদের সামগ্রী তুলে বিপাকে পড়েছেন। কারণ বেচা-বিক্রি বন্ধ।

আজ সোমবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, রাস্তা-ঘাটের বেহাল অবস্থার জন্য ঘরমুখী মানুষকে প্রচণ্ড দুর্দশার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। ‘অবৈধ’ সরকারের দুর্নীতি, টাকা পাচার, লুটপাট, চাঁদাবজি, দখলবাজিতে মানুষ অতিষ্ঠ। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষ দিশেহারা। বাড়িভাড়া বেড়েছে, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বেড়েছে দফায় দফায়। মানুষ দৈনন্দিন খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এই দুঃশাসনের অবসান না হলে দেশের মানুষের মুক্তি মিলবে না, মিলবে না স্বস্তি। আমরা মনে করি, দেশে গণতান্ত্রিক, জনগণের সরকার, সত্যিকারভাবে মানুষ তার পছন্দ অনুযায়ী জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারলেই কেবল মুক্তি মিলবে।’ তিনি বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তির দাবির পাশাপাশি কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে গ্রেপ্তার সব শিক্ষার্থী এবং দৃক গ্যালারির কর্ণধার আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের মুক্তির দাবিও জানান।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ এখনো তাঁর নোয়াখালীর বাড়িতে অবরুদ্ধ রয়েছেন, অভিযোগ করে রিজভী বলেন, এই ধরনের অমানবিক ঘটনা সৃষ্টি করার পরও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সেটাকে নিয়ে ‘তামাশা ও উপহাস’ করছেন। তিনি আরও বলেন, একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, তাঁর স্বাভাবিক জীবন যাপন করার সুযোগ নেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই ‘ভোটারবিহীন’ সরকারের আমলে।

চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, মামুন আহমেদ, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুল করীম, তাইফুল ইসলাম, মুনির হোসেন প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।