বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রথম দিনেই লক্ষ মানুষ হত্যা করবে

তোফায়েল আহমেদ । ফাইল ছবি
তোফায়েল আহমেদ । ফাইল ছবি

বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রথম দিনেই লক্ষ মানুষ হত্যা করবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। 

আজ সোমবার দুপুরে ভোলায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন। সদর উপজেলার ঘুইংগারহাট বাজারের উত্তর দীঘলদি ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ মাতব্বর।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘উত্তর দীঘলদি ইউনিয়ন থেকে আগামী সংসদ নির্বাচনের যাত্রা শুরু হলো। ২০০১ সালের পরের অবস্থায় যদি ফেরত যেতে না চান, তাহলে আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন কমিশন যে নির্বাচন দেবে, সেই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী করার জন্য সবাই, মা-বোন এবং আপনারা ভোট দেবেন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রথম দিনেই লক্ষ লোককে হত্যা করবে। কোনো মা-বোন ইজ্জত নিয়ে বাড়িতে থাকতে পারবে না।’
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রবীণ নেতা তোফায়েল আরও বলেন, ‘২০০১ সালের নির্বাচনের পর ভোলায় অমানুষিক নির্যাতন করেছে বিএনপি। মানুষের গরু পুড়িয়ে দিয়েছে। ভোলায় এমন কোনো আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ছিল না, যাদের অত্যাচার করেনি।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি বসে আছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর কোনো দিন আসবে না। স্বপ্ন, স্বপ্নই থেকে যাবে। বিএনপি নেতারা বলছে, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে নির্বাচন করবে, সেটা তারা বলতেই পারে। তবে খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলার আসামি হিসেবে বন্দী। কোর্ট যদি তাঁকে মুক্তি দেন, দিতেই পারেন; আর যদি মুক্তি না দেন, তাহলে আমাদের কিছু করার নাই। তবে নির্বাচনে তারা আসুক না-আসুক, নির্বাচন কিন্তু থেমে থাকবে না। বিএনপি-জামায়াতের এমন কোনো ক্ষমতা নাই যে তারা নির্বাচন বানচাল করতে পারে। নির্বাচন হবে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের অধীনে। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন।’

তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচন বানচাল করার জন্য বিএনপি-জামায়াত পুলিশ-বিজিবি মেরেছে, নির্বাচনের বুথ পুড়িয়ে দিয়েছে কিন্তু নির্বাচন বানচাল করতে পারে নাই। খালেদা জিয়া আবার ৯৩ দিন হরতাল-অবরোধের নামে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। তিনি বলেছিলেন, শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবেন না। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আর বেগম খালেদা জিয়া গেছেন জেলখানায়। সুতরাং বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ না নেয়, সেটা হবে বিএনপির রাজনৈতিক আত্মহত্যা।’
পথসভায় বাণিজ্যমন্ত্রী সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে আগামী নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনে উন্নয়ন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
পথসভায় আরও বক্তব্য দেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, এনামুল হক আরজু, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন, উত্তর দীঘলদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী প্রমুখ।
বাণিজ্যমন্ত্রী সকাল সাড়ে ১০টায় ভোলা সরকারি বালক বিদ্যালয়ের মাঠে সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও অবসরপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ফারুকের জানাজায় অংশ নেন।
বিকেল সাড়ে ৪টায় সদর উপজেলার আলী নগর ইউনিয়নের বেপারি বাজারে আরেকটি পথসভায় অংশ নেন।