হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত এক শিক্ষিকা

হাইকোর্ট
হাইকোর্ট

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের করা মামলায় এক স্কুলশিক্ষিকা হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আজ সোমবার ওই নারী কারাগার থেকে বের হন।

এর আগে গতকাল রোববার হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ ওই শিক্ষিকার করা জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে রুলসহ জামিন দেন। ওই নারীর বাবা ও স্বামী আইনগত সহায়তা চেয়ে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টে (ব্লাস্ট) আবেদন করেন।

আদালতে জামিন আবেদনকারীপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সারা হোসেন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আবু ওবায়দুর রহমান ও শারমিন আক্তার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায়।

আজ আইনজীবী শারমিন আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আবেদনকারীকে কেন নিয়মিত জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে আদালত রুল দিয়েছেন। রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই নারীকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়।’ শারমিন আক্তার জানান, আজ ওই নারী জামিনে মুক্তি পেয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন।

ব্লাস্ট জানায়, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলা আন্দোলন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় ৪ আগস্ট রাত একটার দিকে অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়, যিনি সরকারি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। পরে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পটুয়াখালীর কলাপাড়া থানা-পুলিশ মামলা করে। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। পরে নিম্ন আদালতে তাঁর জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর হলে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়।