ইয়াবাসহ পুলিশ পরিদর্শক গ্রেপ্তার, সাত খুনের তদন্ত শেষে কর্মস্থলে ফেরেননি তিনি

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ৮৬ ইয়াবা বড়িসহ এক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরও এক নারী গ্রেপ্তার হয়েছেন। মাটিরাঙ্গা পুলিশ রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে তাঁদের পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশ কর্মকর্তার নাম মো. ইকরাম হোসেন। তিনি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক। আর গ্রেপ্তার হওয়া নারীর নাম ইসমত আরা। ইসমত চট্টগ্রামে পোশাকশ্রমিক ছিলেন। চট্টগ্রামে তাঁদের মধ্যে পরিচয় ঘটে বলে জানা গেছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, খাগড়াছড়িতে সাত খুনের ঘটনা তদন্ত করে চট্টগ্রামে ফেরার পথে হঠাৎ মাটিরাঙ্গায় নেমে যান পুলিশ পরিদর্শক ইকরাম। ইকরাম তাঁর সহকর্মীদের চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দেন। এরপর তিনি মাটিরাঙ্গা পৌর এলাকার রসুলপুরে জনৈক সোহেল রানার বাড়িতে ওঠেন। ওই বাড়িতে ইসমত থাকতেন। এতে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। এলাকাবাসী ওই বাসা ঘেরাও করে ইকরামকে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেন। এর মধ্যে সেখানে ইকরামের ব্যাগ ঘেঁটে প্রথমে ৫টি এবং একই ব্যাগে একটি পৃথক খাম থেকে আরও ৮১টি ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়।

মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মো. জাকির হোসেন বলেন, পুলিশ পরিদর্শক ইকরামের কাছে থেকে ৮৬টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। গুলিসহ সরকারি পিস্তল হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাঈন উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সাত খুনের ঘটনা তদন্ত করে চট্টগ্রামে ফেরার কথা ছিল পুলিশ পরিদর্শক ইকরামের। কিন্তু সহকর্মীদের চট্টগ্রামে পাঠিয়ে মাটিরাঙ্গায় নেমে যান তিনি। সেখানে ইসমত আরা নামে এক নারীর কাছে চলে যান।

মাঈন উদ্দিন আরও বলেন, ইসমত আরা চট্টগ্রামে পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিলেন। পোশাকশ্রমিকের আড়ালে তিনি মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ত হন। তাঁর চার বিয়ে ভেঙে গেছে। পুলিশ পরিদর্শক ইকরাম নাকি তাঁর পঞ্চম স্বামী। কিন্তু ইকরাম এই বক্তব্য অস্বীকার করছেন। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইকরাম কীভাবে মাদক ব্যবসায় জড়িত হয়েছেন, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আর ইসমতের দুই ভাইও মাদক ব্যবসায়ী।