গাইবান্ধায় অটোরিকশা দুমড়েমুচড়ে গিয়ে নিহত চার, আহত দুই

বাসের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে যায় সিএনজিচালিত এই অটোরিকশাটি। এতে চালকসহ নিহত হন চার যাত্রী। মহেশপুর, পলাশবাড়ী, ২০ আগস্ট। ছবি: প্রথম আলো
বাসের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে যায় সিএনজিচালিত এই অটোরিকশাটি। এতে চালকসহ নিহত হন চার যাত্রী। মহেশপুর, পলাশবাড়ী, ২০ আগস্ট। ছবি: প্রথম আলো

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশা দুমড়েমুচড়ে গিয়ে বাবা-ছেলেসহ চারজন নিহত হয়েছেন। ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের মহেশপুর এলাকায় সোমবার বিকেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত লোকজনের মধ্যে অটোরিকশার চালকও আছেন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন পলাশবাড়ী সদরের উদয়সাগর গ্রামের আবদুল হান্নান (৫০), তাঁর ছেলে আবদুর রহমান (১৬), অটোরিকশার চালক সাদুল্যাপুর উপজেলার মহিপুর গ্রামের সুমন মিয়া (৩৫) ও একই উপজেলার জানিপুর গ্রামের আর্জিনা বেগম (২৬)। আহত ব্যক্তিরাও অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুর থেকে জেনিন পরিবহনের একটি বাস সিরাজগঞ্জ যাচ্ছিল। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মহেশপুর এলাকায় পৌঁছালে একই দিকে যাওয়া ওই অটোরিকশাকে বাসটি ধাক্কা দেয়। এ সময় অটোরিকশাটি উল্টে গিয়ে দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার চালক ও তিন যাত্রী নিহত হন। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহত লোকজনকে উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। অতিক্রম করার সময় সিএনজিতে ধাক্কা লাগলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। লাশগুলো অটোরিকশার ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। আহত দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ওসি বলেন, ঘটনার পর বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক ও তাঁর সহকারী পলাতক।

এর আগে সোমবার সকালে একই এলাকায় আফরিন-আরাফাত ও বৈশাখী পরিবহন নামের দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দুই বাসের চালকসহ ৮ যাত্রী আহত হন।