বিএনপির 'নির্যাতিত' নেতা-কর্মীর স্বজনদের ঈদ শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

দেশে বেঁচে থাকার কোনো নিরাপত্তা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আজ জনগণের কোনো স্বাধীনতা নেই। বেঁচে থাকার নিরাপত্তা নেই। সরকার নির্ধারণ করে কে বেঁচে থাকবে, কে বেঁচে থাকবে না।’

সোমবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে দলটির ‘নির্যাতিত, নিপীড়িত নেতা-কর্মী ও তাঁদের স্বজনদের’ ঈদপূর্ব শুভেচ্ছাবিনিময় অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, মানুষের নিরাপত্তা তো দূরে থাক, এখন তাদের স্বাভাবিক মৃত্যুরও গ্যারান্টি নেই। সব মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। প্রতিবাদও করা যায় না।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এমন এক দেশে বাস করছি, যেখানে শিশুদের আর্তনাদ এবং কান্নাও কারও কানে পৌঁছায় না। ভয়াবহ একটি “পৈশাচিক কারাগারে” বাস করছি আমরা।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের সন্তানদের তুলে নিয়ে গেছে, নিখোঁজ করা হয়েছে। যে রাষ্ট্রের দায়িত্ব নাগরিকদের রক্ষা করা, সেই রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের তুলে নিয়ে গেছে। আর এখন তারা কেউ কোনো কথা বলছে না।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজ মায়েরা কাঁদছে, শিশুরা কাঁদছে। অনেকের ছেলে হারিয়ে গেছে। অনেকের ছেলে নিহত হয়েছে। মায়ের অশ্রু কখনো বৃথা যায় না। নিঃসন্দেহে এ দেশের মানুষ জেগে উঠবে। সত্যিকার অর্থেই জনগণ একটি শান্তিময় দেশ তৈরি করবে।’ এ সময় তিনি বিচারবহির্ভূত হত্যা ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের নির্যাতনের বিচার হবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন।

দলের নেতা-কর্মী ও তাঁদের স্বজনদের উদ্দেশে ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা নিজেদের অসহায় ভাববেন না। এ দেশের মানুষ আপনাদের সঙ্গে আছে। আপনাদের কষ্ট, শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে।’

এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে বিএনপির নির্যাতিত নেতা-কর্মী ও তাঁদের স্বজনদের আর্থিক অনুদান দেন মির্জা ফখরুল।