কারাগার থেকে কোটা আন্দোলনের ১০ জন জামিনে মুক্ত

কোটা আন্দোলনের ১০ শিক্ষার্থী কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।  ছবি: ইকবাল হোসেন
কোটা আন্দোলনের ১০ শিক্ষার্থী কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। ছবি: ইকবাল হোসেন

ঢাকার শাহবাগ থানার মামলায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ১০ নেতা-কর্মী ও সমর্থককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার জাহিদুল আলম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘১০ জন শিক্ষার্থীর জামিনের কাগজপত্র বুঝে পেয়েছি। তাই তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’

কোটা আন্দোলনের ১০ শিক্ষার্থী কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।  ছবি: ইকবাল হোসেন
কোটা আন্দোলনের ১০ শিক্ষার্থী কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। ছবি: ইকবাল হোসেন

কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফারুক হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইসলাম (এমবিএ) শেষ বর্ষের ছাত্র রাশেদ খান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মশিউর রহমান, গাজীপুর ভাউয়াল কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাখাওয়াত হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ শেষ বর্ষের ছাত্র জসিমউদ্দিন আকাশ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি শেষ বর্ষের ছাত্র সোহেল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তারিকুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ শেষ বর্ষের ছাত্র মাসুদ সরদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র সাইদুর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামি স্টাডিজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আতিকুর রহমান।

গতকাল সোমবার কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার হওয়া ১৮ জন শিক্ষার্থী জামিন পান। অন্যদিকে, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার হওয়া আরও ১২ শিক্ষার্থীকে জামিন দেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত।

গত রোববার ঢাকার আদালত থেকে জামিন পান আরও ৩২ জন শিক্ষার্থীসহ ৩৯ জন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের এসব মামলা হয়েছিল রাজধানীর শাহবাগ ও রমনা থানায়। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ খানকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এ ছাড়া বাকি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে কর্তব্য পালনে বাধা দেওয়া, সরকারি কাজে বাধা এবং নাশকতা অভিযোগে মামলাগুলো করা হয়।