পাল্লা দিতে গিয়ে গাড়ি খাদে, নিহত ৩

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর অন্য গাড়ির সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে যাত্রীবাহী একটি বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি খাদে পড়ে যায়। এতে তিনজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ২০জন।

বাসটি ফরিদপুর থেকে টেকেরহাটগামী কেশব পরিবহনের ছিল। উপজেলার ছাগলছেড়া এলাকায় পেট্রল পাম্পের কাছে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিদের ঘটনাস্থলের কাছাকাছি মাদারীপুরে রাজৈর এবং ফরিদপুরের ভাঙায় নিয়ে যাওয়া হয়।

মুকসুদপুর সিন্ধিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ি পরিদর্শক মো. ইসলাম জানান, নিহত একজনের নাম রোজিনা বেগম (২৫)। বাড়ি মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী এলাকায়।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর উত্তরপাড়া এলাকায় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে একটি যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত একজন। নিহত দুজন প্রাইভেটকারের আরোহী ছিল।

প্রাইভেটকারটি ঢাকা থেকে খুলনায় যাচ্ছিল। আর বাসটি গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী সেবা গ্রিনলাইন পরিবহন ছিল।

নিহত দুজন হলেন বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার মুলঘর গ্রামের সরদার আতিয়ার রহমানের ছেলে এমএম আরাফাত হোসেন প্রিন্স (৩৬)। তিনি রুপালী ব্যাংকের সাউথ ডিভিশন মতিঝিলের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ছিলেন। অপরজন খুলনা সোনাডাঙ্গার ময়লাপোতার শিমুল (৪০)। সর্ম্পকে তাঁরা মামাতো-ফুফাতো ভাই।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন এমএম আরাফাত হোসেনের স্ত্রী মেসকাত জাহান ফেরদাউসী (৩০)। তাঁকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল প্রায় ১৮ ঘণ্টার মধ্যে সড়কে নিহত হয়েছে ২৯ জন। এর মধ্যে নরসিংদীর বেলাব উপজেলায় গতকাল সোমবার রাতে বাস-লেগুনা সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ১১ জন। এর আগে ভোররাতে ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে প্রাণ গেছে শিশুসহ ছয়জনের। গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বিকেলে বেপরোয়া গতির একটি বাস সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে নিহত হন চারজন।
এ ছাড়া রাজধানীসহ অপর সাত জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে শিশু-কিশোরীসহ আরও আটজন। এর মধ্যে গাজীপুরে প্রাণ গেছে দুই কিশোরীর।

এ নিয়ে গত ৫৪৫ দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল অন্তত ৪ হাজার ৯০৬।