নড়াইলে হিন্দুবাড়ি ভাঙচুর লুট, চাঁদপুরে অগ্নিসংযোগ

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে চারটি হিন্দুবাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীকে সমর্থন করার জেরে শনিবার গভীর রাতে এ হামলা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত লক্ষ্মীপুর গ্রামের মন্মথ বিশ্বাস, মৃণাল বিশ্বাস, অনিমেষ বিশ্বাস ও সুখলাল বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা এসব বাড়ি থেকে টেলিভিশন, স্বর্ণালংকার, বাইসাইকেল, কাপড় ও আসবাব লুট করে নিয়ে যায়।
সুখলালের ছেলে জগদীশ বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, গত রোববার রাত নয়টার দিকে পাশের কালিনগর ও ধূষাহাটি গ্রামের কয়েকজন লুণ্ঠিত মালামালের কিছু অংশ ফেরত দিয়ে গেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন গ্রামবাসী বলেন, হামলা ও লুটপাটের শিকার ব্যক্তিরা ১৯ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহমুদুল হাসানের সমর্থক ছিলেন। এর জের ধরে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত বিজয়ী চেয়ারম্যান খান শামীমুর রহমানের সমর্থকেরা এ হামলা চালিয়েছেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান শামীমুর বলেন, ‘আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে একটি মহল এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।’ হামলা ও লুটপাটের সত্যতা নিশ্চিত করে নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গাইন জানান, এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে গত রোববার দিবাগত রাত চারটার দিকে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সকদি রামপুর গ্রামে একটি হিন্দু বাড়ির বসতঘরে দুষ্কৃতকারীরা আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। সকদি রামপুর মনা ডাক্তারের বাড়ির মালিক দীপক চন্দ্র দে জানান, তাঁর মা ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পাশের ঘরে ছিলেন। রাতে পাশের টিনশেড ঘরে কেউ অগ্নিসংযোগ করে।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি নাজমুল হক জানান, এ ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।