টাঙ্গাইলে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন, আসামি পলাতক

টাঙ্গাইলে ধর্ষণের দায়ে আবদুল জলিল নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় দেন। ধর্ষণের পরে জন্ম নেওয়া কন্যাশিশুর পিতৃত্বের স্বীকৃতি ও ভরণপোষণের দায়িত্ব দণ্ডিত ব্যক্তিকেই নিতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

আবদুল জলিলের বাড়ি ঘাটাইল উপজেলার শালিয়াবহ গ্রামে। তিনি জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে পলাতক।

টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এ কে এম নাছিমুল আক্তার জানান, ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি শালিয়াবহ গ্রামের এক নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আবদুল জলিল ধর্ষণ করেন। ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হলে জলিল তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ধর্ষণের শিকার নারী টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন। মামলা চলাকালীন ২০১০ সালে ওই নারীর একটি কন্যাশিশুর জন্ম হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ ওই কন্যার ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করে। আদালতের নির্দেশে ডিএনএ পরীক্ষায় কন্যাশিশুটির বাবা আবদুল জলিল বলে প্রমাণিত হয়।