বাইসাইকেলে বাংলাদেশের দুই তরুণ কলকাতায়

মাদকবিরোধী প্রচারের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের দুই সাইকেল আরোহী শেখ শরিফুল ইসলাম ও গাজী বাহারুল ইসলাম কলকাতায় পৌঁছেছেন। ২৮ আগস্ট, ২০১৮।  ছবি: ভাস্কর মুখার্জী
মাদকবিরোধী প্রচারের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের দুই সাইকেল আরোহী শেখ শরিফুল ইসলাম ও গাজী বাহারুল ইসলাম কলকাতায় পৌঁছেছেন। ২৮ আগস্ট, ২০১৮। ছবি: ভাস্কর মুখার্জী

সুস্থ জীবন গড়ি, মাদককে না বলি; সাইকেল চালান, গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান—স্লোগান নিয়ে বাংলাদেশের দুই তরুণ দুটি বাইসাইকেলে চেপে খুলনা থেকে আজ কলকাতায় পৌঁছান। গত শনিবার খুলনার রূপসা নদীর ওপর খানজাহান আলী সেতু বা রূপসা সেতু থেকে যাত্রা শুরু করে তাঁরা তাঁদের এই প্রচার অভিযান শুরু করেন। আজ সেই প্রচার অভিযান শেষ করেন কলকাতার হুগলি নদীর ওপরের হাওড়া বা রবীন্দ্র সেতুতে।
কলকাতায় আসা এই দুই সাইকেল আরোহীর নাম শেখ শরিফুল ইসলাম ও গাজী বাহারুল ইসলাম। দুজনেরই বাড়ি বাংলাদেশের খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানায়। দুজনেরই বয়স ২৪ বছর। পেশায় ব্যবসায়ী। একই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তবে দুজনেই গাছকে ভালোবাসেন। মাদককে ঘৃণা করেন। ভালোবাসেন নদীকে। নদীর পানিকে। সুন্দর পরিবেশকে। তাইতো তাঁরা মাদকের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছেন। গাছ লাগান, নদীকে ভালোবাসুন আর মাদককে ঘৃণা করুন স্লোগান দিয়ে বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত পার হয়ে কলকাতায় এসেছেন।
এই দুই বন্ধু সাইকেলে খুলনা থেকে যশোর হয়ে বেনাপোল আসেন। তারপর সীমান্ত পার হয়ে আবার সাইকেলে করে কলকাতায় আসেন। গতকাল রাতে তাঁরা কলকাতার বালিতে পৌঁছান। আজ তাঁরা সাইকেল চালিয়ে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় প্রচারাভিযানে অংশ নেন। যান বেহালায়ও। বিকেলে আসেন কলকাতা প্রেসক্লাবে। এর আগে হাওড়া সেতুতে। হাওড়া সেতুতে এই দুই তরুণ সাইকেল আরোহী কথা বলেন এখানকার মানুষজনের সঙ্গে। মতবিনিময় করেন।
সাইকেলে কলকাতা প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রচারে অংশ নেন। বিলি করেন দাবি সংবলিত প্রচারপত্র।
শরিফুল ইসলাম এবং বাহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেছেন, পেশা তাঁদের ব্যবসা হলেও নেশা তাঁদের সাইকেল চালানো, সেই সঙ্গে গাছ লাগানো আর মাদকের বিরুদ্ধে মানুষকে সংগঠিত করা, বিভিন্ন প্রচারাভিযানে অংশ নেওয়া। এই দুই বন্ধু ইতিমধ্যে তাঁদের দাবি নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা সাইকেলে ঘুরেছেন। প্রচার করেছেন। শরিফুল আরও বলেছেন, তাঁদের এই অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশের জাতীয় অ্যাপেক্স ক্লাব। কলকাতায় পৌঁছেও তাঁরা অ্যাপেক্স ক্লাবের সান্নিধ্য পেয়েছেন। সহযোগিতা পেয়েছেন। অ্যাপেক্স ক্লাবই তাঁদের কলকাতায় প্রচারাভিযানে সার্বিক সাহায্য ও সহযোগিতা করেছে।
ভারতের অ্যাপেক্স ক্লাবের জাতীয় সভাপতি অধ্যাপক দীপেন্দু চ্যাটার্জি প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘আমরাও খুশি বাংলাদেশের এই দুই তরুণ মাদকবিরোধী প্রচারাভিযানে সুদূর খুলনা থেকে কলকাতায় এসেছেন। আমরা এই দুই তরুণের সাফল্য কামনার পাশাপাশি প্রার্থনা করি মাদকবিরোধী অভিযান যেন সার্থক হয়। ওদের সফলতা আসে।’
কাল বুধবার সকালে এই দুই তরুণ খুলনার উদ্দেশে যাত্রা করবেন।