সংবিধান লঙ্ঘন করে কারাগারে আদালত স্থাপন করছে সরকার

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সংবিধান লঙ্ঘন করে সরকার কারাগারে আদালত স্থাপন করছে।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ অভিযোগ করেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার এখন অনুষ্ঠিত হবে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় করাগারে। আদালত বসানোর এ সিদ্ধান্ত আজই হয়। আইন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আজ এক প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে।

মামলার আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অপর মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে এই কারাগারে বন্দী আছেন। তিনি এ মামলায় নির্ধারিত তারিখে হাজিরা না দেওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলছেন, এটি হলে তা হবে আইনের পরিপন্থী। এরপর মির্জা ফখরুলও এর প্রতিবাদ করলেন।

আজ সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার মামলা এতদিন একটি বিশেষ আদালত তৈরি করে ঢাকা আলীয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে চলছিল। এখন সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর নিচ্ছে। এটি একটি ক্যামেরা ট্রায়াল। এ ধরনের মামলায় ক্যামেরা ট্রায়ালের সুযোগ নেই। এ পদক্ষেপ সম্পূর্ণ সংবিধানবিরোধী।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতেই সরকার এটি করছে। অত্যন্ত হীন উদ্দেশ্যে এসব কার্যক্রম করছে ক্ষমতাসীনেরা। এ ধরনের কার্যক্রম আসন্ন নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে। বিএনপি এটিকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে, এটিকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। এরর পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে জানানো হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, সবচেয়ে বড় কথা খালেদা জিয়া একজন প্রবীণ রাজনীতিক। তাঁর অধিকার হরণ করা হচ্ছে। সংবিধান লঙ্ঘন করা হচ্ছে।

এ সময় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, সংবিধান যতবার ও যতগুলো সংশোধন হয়েছে, কোনোবারই ৩৫ ধারা সংশোধন করা হয়নি। আজ একটি প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সেটি পরিবর্তন করেছে সরকার।

বিএনপির স্থায়ী সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।