অস্থায়ী শ্রমিকেরা বাড়তি মজুরি পাচ্ছেন না

চা-বাগানে অস্থায়ী শ্রমিকদের মজুরি কম দেওয়ার কারণে কর্মবিরতি পালন করেছেন শ্রমিকেরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত উপজেলার সোনাছড়া চা-বাগান, জাগছড়া চা-বাগান, খাইছড়া চা-বাগান, ভাড়াউড়া চা-বাগান, ভুরভুরিয়া চা-বাগান, খাকিয়াছড়া চা-বাগান, রাজঘাট চা-বাগানসহ বিভিন্ন চা-বাগানে এই কর্মবিরতি পালন করা হয়।

কর্মবিরতির অংশ হিসেবে চা-শ্রমিকেরা বাগানের কারখানাগুলোর সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে মালিকপক্ষের আশ্বাসে কাজে ফিরে যান। এর আগে গতকাল বুধবার মজুরি কম দেওয়ার কারণে অস্থায়ী শ্রমিকেরা মজুরি নেননি।

কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া চা-বাগানের অস্থায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন চা-বাগানের শ্রমিকদের মজুরি ৮৫ টাকা থেকে বেড়ে ১০২ টাকা করা হয়েছে। কিন্তু গতকাল তাঁরা যখন মজুরি আনতে যান, তখন তাঁদের আগের মতো ৮৫ টাকা করে দেওয়া হয়। তাই তাঁরা টাকা নেননি।

সোনাছড়া চা-বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি কার্তিক নায়েক প্রথম আলোকে বলেন, চা-বাগানে যাঁরা অস্থায়ী শ্রমিক রয়েছেন, তাঁরা স্থায়ী শ্রমিকের মতো সব কাজ সমান সমান করে থাকেন। কিন্তু অস্থায়ী শ্রমিকেরা রেশন, ভবিষ্যৎ তহবিল, ঘরবাড়ি, বাগানের বিভিন্ন সুবিধা পান না। এ পরিস্থিতিতে তাঁদের মজুরিও যদি কম দেওয়া হয়, তাহলে তাঁরা কীভাবে কাজ করবেন?

চা-বাগানে অস্থায়ী শ্রমিকদের মজুরি কম দেওয়ার কারণে কর্মবিরতি পালন করেছেন শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা কারখানার সামনে অবস্থান নেন। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের জাগছড়া চা-বাগান কারখানা, ৬ সেপ্টেম্বর। ছবি: শিমুল তরফদার
চা-বাগানে অস্থায়ী শ্রমিকদের মজুরি কম দেওয়ার কারণে কর্মবিরতি পালন করেছেন শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা কারখানার সামনে অবস্থান নেন। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের জাগছড়া চা-বাগান কারখানা, ৬ সেপ্টেম্বর। ছবি: শিমুল তরফদার

চা-শ্রমিক সংগঠন বালিশিরা ভ্যালির সভাপতি বিজয় হাজরা প্রথম আলোকে বলেন, চা-বাগান মালিক-শ্রমিক চুক্তি অনুযায়ী শ্রমিকেরা প্রতি কেজি চা-পাতা উত্তোলনে ৪ টাকা ৪৩ পয়সা করে পাওয়ার কথা থাকলে মালিকপক্ষ ৩ টাকা ৬৯ পয়সা করে দিতে চাইছে। এই কারণে শ্রমিকেরা কর্মবিরতি ডেকে অবস্থান নিয়েছেন। চা-বাগানের স্থায়ী শ্রমিক ও অস্থায়ী শ্রমিকেরা সকাল থেকে বিভিন্ন চা-বাগানের কারখানার সামনে দাঁড়িয়ে তাঁদের দাবি জানাতে থাকেন। পরে মালিকপক্ষের আশ্বাস পেয়ে সকলে নিজ নিজ কাজে ফিরে যান।