ছোট পাখি আবাবিল

আবাবিল বা চাতক পাখি।  ছবি: বাংলাদেশ ওয়াইল্ড লাইফ ক্লাব
আবাবিল বা চাতক পাখি। ছবি: বাংলাদেশ ওয়াইল্ড লাইফ ক্লাব

দালানের শার্সির মুখে একটু ঝুলে বসে এরা। দুর্বল দুপায়ে বাঁকা ও ধারালো নখ আছে। দিনের ১২ ঘণ্টার মধ্যে গড়ে ১০ ঘণ্টাই আকাশে উড়ে বেড়ায়। ফুর্তিবাজ, আমুদে, খেলুড়ে এই পাখির নাম আবাবিল বা চাতক পাখি।

ঢাকা শহরের ঊর্ধ্বাকাশে ৫০ থেকে ৫০০ আবাবিল দল বেঁধে এমনভাবে ওড়াউড়ি করে, যেন নানান আকাশক্রীড়ায় মত্ত। মেঘ ডাকলে এদের ফুর্তি আরও বাড়ে। বৃষ্টি নামলে উড়ে উড়ে গোসল করে মহানন্দে, পানা ব্যাঙের মতো মুখ খুলে জল পানও করে। মূল খাদ্য আকাশে উড়ে বেড়ানো ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পোকা, বিটল পোকা ইত্যাদি।

জঙ্গি বিমানের মতো এদের ওড়ার কৌশল; গান গাওয়া, বাসা বানানো, ডিম পাড়া, ছানা দেওয়াসহ পুরো জীবনাচরণ নিবিড়ভাবে দেখার সুযোগ আমি পেয়েছিলাম টানা ২৯ বছর (১৯৭৪-২০০৩)। আমার অফিস ৫৪ পুরানা পল্টনের হলুদ রঙের ৫ তলা ভবনে বড় বড় ভেন্টিলেটর ছিল ৬২টি। প্রতিটিতেই বাসা করত আবাবিল। বাসার উপকরণ ঘাস, লতা, মাকড়সার জাল, হাঁস-মুরগির পালক এবং নিজেদের মল ও মুখের লালা।

আবাবিলের গলা ও কোমরের কাছটা সাদা। মাথা-পিঠ-ঘাড়-গলা ও ডানার উপরিভাগ কালো বা কালচে বাদামি। ইংরেজি নাম হাউস সুইফট। বৈজ্ঞানিক নাম apus nipalensis।