অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড

আদালত
আদালত

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালত আজ রোববার পাঁচজন চালককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক এবং বাকি দুজনের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে আইন অমান্য করার অভিযোগ আনা হয়। আরেকজনের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। আজ চট্টগ্রাম নগরের কাপ্তাই রাস্তার মাথা এবং বড় পুল মোড়ে পৃথক দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত বসেন।

বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত-১২-এর ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক দুজন অপ্রাপ্তবয়স্ক চালককে এক মাস করে কারাদণ্ড দেন। দণ্ডিত দুই চালক হলো মোহাম্মদ শরীফুল ও মোহাম্মদ মান্নান। দুই চালকই মিনিবাস চালাচ্ছিল। কিন্তু তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। শরীফুলের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলগাঁও এলাকায়। তার বাবার নাম মোহাম্মদ নায়েব। আর মান্নানের গ্রামের বাড়ি ফেনী সদরের তেঁতুলিয়া এলাকায়। তার বাবার নাম মো. সাইফুল্লাহ।

আদালত-১২-এর ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। অথচ তারা দুজনই মিনিবাস চালাচ্ছিল। এ জন্য দুজনকে এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

গতকাল ভ্রাম্যমাণ আদালত-১২ অভিযান চালিয়ে ১৮ গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা এবং ৮১ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন। আদালত আটটি গাড়ি ডাম্পিং স্টেশনে পাঠান এবং নয়টির কাগজপত্র জব্দ করেন।
কাপ্তাই রাস্তার মাথায় ভ্রাম্যমাণ আদালত-১১ পরিচালনা করেন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউল হক মীর। তিনিও একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক চালককে এক মাসের কারাদণ্ড দেন। তাঁর নাম মোহাম্মদ রিপন। রিপন হিউম্যান হলার চালাচ্ছিল। তার গ্রামের বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা এলাকায়। তার বাবার নাম মোহাম্মদ নাসির।
কাপ্তাই রাস্তার মাথায় আইন অমান্য করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আদালত শহীদুল ইসলামকে (২৩) এক মাসের কারাদণ্ড দেন। তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাচ্ছিলেন। তাঁর অটোরিকশার ফিটনেস সনদ ছিল না। একই আদালত ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশার কাগজপত্র না থাকার দায়ে নুরুল আলমকে (৪৭) ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন। নুরুল আলমের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। তাঁর বাবার নাম আনোয়ার হোসেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত-১১ কাপ্তাই রাস্তার মোড়ে ৪৭টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা এবং ৭৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। আদালত ৩টি গাড়ি ডাম্পিং স্টেশনে এবং ৭টির কাগজপত্র জব্দ করেন।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করলে চট্টগ্রাম বিআরটিএর জন্য দুজন ম্যাজিস্ট্রেট দেয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। ৩০ আগস্ট থেকে চট্টগ্রামে বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। রোববার ছিল অষ্টম কার্যদিবস। এর আগে চট্টগ্রামে আরও তিনজন অপ্রাপ্তবয়স্ক চালককে আদালত-১২ এক মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। মোটরযান অধ্যাদেশ অনুযায়ী একজন পেশাদার চালকের বয়স কমপক্ষে ২০ বছর হতে হয়। এর নিচে হলে তারা আইনের আওতায় আসবে।