ঢাকার আবর্জনার চূড়ায়

প্রতিদিন ঢাকা শহরের ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টন বর্জ্য মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিলে আনা হয়। ১০০ একর আয়তনের এ ভাগাড়ের যেদিকে চোখ যায়, শুধু আবর্জনার স্তূপ। সারা দিন এখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ চলে। যন্ত্রের পাশাপাশি খালি হাতে কাজ করে চলেছেন শ্রমিকেরা। এই বর্জ্যের ওপর অনেকেরই জীবিকা নির্ভর করে। প্রতিদিন একদল লোক আবর্জনার স্তূপ থেকে কাগজ, হাড়, কাচ, লোহা, প্লাস্টিক, নারকেলের মালা (খোসা) ইত্যাদি বর্জ্য আলাদা করেন এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। একেকজন প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করেন। ল্যান্ডফিলে থাকা বিভিন্ন কারখানায় এসব বর্জ্য চলে যায়। সেখানে বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রক্রিয়াজাতকরণের কাজ চলে। কারখানায় নিয়োজিত একেকজন শ্রমিক মাসে ৯ হাজার থেকে সাড়ে ১০ হাজার টাকা বেতন পান। তবে শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ ও পদ্ধতি স্বাস্থ্যসম্মত নয়। নানা রকম স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই তাঁরা এখানে কাজ ও বসবাস করছেন। ছবিগুলো বুধবারের।

ভাগাড় থেকে বাছাই করা এসব বর্জ্য চলে যাবে স্থানীয় কারখানাগুলোয়।
ভাগাড় থেকে বাছাই করা এসব বর্জ্য চলে যাবে স্থানীয় কারখানাগুলোয়।
সুরক্ষার কোনো ধরনের ব্যবস্থা ছাড়াই লোকজন বর্জ্য আলাদা করার কাজটি করেন।
সুরক্ষার কোনো ধরনের ব্যবস্থা ছাড়াই লোকজন বর্জ্য আলাদা করার কাজটি করেন।
ভাগাড় থেকে আলাদা করা হয় কাগজ, পশুর হাড়, কাচ, ধাতব বস্তু, প্লাস্টিক ইত্যাদি।
ভাগাড় থেকে আলাদা করা হয় কাগজ, পশুর হাড়, কাচ, ধাতব বস্তু, প্লাস্টিক ইত্যাদি।
এখানে বেশ কয়েকটি হাড় গুঁড়া করার কারখানা রয়েছে। সার, সিরামিক ও প্লাস্টিক পণ্য তৈরিতে হাড় ব্যবহৃত হয়।
এখানে বেশ কয়েকটি হাড় গুঁড়া করার কারখানা রয়েছে। সার, সিরামিক ও প্লাস্টিক পণ্য তৈরিতে হাড় ব্যবহৃত হয়।
ছবি তোলার সময় জরিনা কোনোভাবেই হাসি থামাতে পারে না।
ছবি তোলার সময় জরিনা কোনোভাবেই হাসি থামাতে পারে না।
ভাগাড় থেকে সংগ্রহ করা কাগজের তৈরি গ্লাস স্তূপ করে রাখা হয়েছে।
ভাগাড় থেকে সংগ্রহ করা কাগজের তৈরি গ্লাস স্তূপ করে রাখা হয়েছে।
কুলসুম আজই প্রথম কাজে যোগ দিয়েছেন। তিনি ও তাঁর স্বামী ভোলা থেকে ঢাকায় পাড়ি জমিয়েছেন।
কুলসুম আজই প্রথম কাজে যোগ দিয়েছেন। তিনি ও তাঁর স্বামী ভোলা থেকে ঢাকায় পাড়ি জমিয়েছেন।