র‍্যাফট খুলে পড়ল আকাশবীণার

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আকাশবীণা । ফাইল ছবি
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আকাশবীণা । ফাইল ছবি

বাণিজ্যিক ফ্লাইট শুরুর ছয় দিন পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নতুন উড়োজাহাজ ‘আকাশবীণার’ জরুরি বহির্গমন দরজার র‍্যাফট খুলে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিমানের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে ড্রিমলাইনার দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে। 

বিমান সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়া থেকে মঙ্গলবার ভোর চারটার দিকে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে আকাশবীণা। যাত্রীরা নামার পর নিয়মিত গ্রাউন্ড চেকের জন্য উড়োজাহাজটি বিমানের প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্বাবধানে দেওয়া হয়। পরে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতির জন্য কেবিন ক্লিনিংসহ আকাশবীণা চেকআপ করা হয়। সিঙ্গাপুরগামী এই ফ্লাইটে বিএফসিসির খাবারের গাড়ি আসে। তখন ড্রিমলাইনারের সামনে বাম পাশের দরজা খোলার সময় বিমানের প্রকৌশল বিভাগের এক কর্মী র‍্যাফটটি খুলে ফেলেন। এ জন্য বিমানটি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে নির্ধারিত সময়ের ৩৫ মিনিট পর মঙ্গলবার সকাল নয়টায় ঢাকা ছেড়ে যায়। তবে যাত্রীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় র‍্যাফট রিপ্লেস করার আগ পর্যন্ত ৫৫ জন যাত্রী কম নিয়ে আকাশবীণাকে চলতে হবে।

বিমানের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ প্রথম আলোকে বলেন, জরুরি বহির্গমন দরজার র‍্যাফট দিয়ে উড়োজাহাজ থেকে দ্রুত যাত্রীদের বের করে আনা হয়। দরজার সঙ্গে এই র‍্যাফট লাগানো থাকে। ড্রিমলাইনারে একটি দরজা দিয়ে ৫৫ জন যাত্রী বের হতে পারেন। চারটি ইমার্জেন্সি এক্সিট ডোরের একটি র‍্যাফট না থাকায় ৫৫ জন যাত্রী কম নিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করতে হচ্ছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার র‍্যাফটটি রিপ্লেস করা হবে। তবে মঙ্গলবারের র‍্যাফট খুলে যাওয়ার ঘটনার পর ছয়টি ফ্লাইট ড্রিমলাইনার দিয়ে পরিচালিত হয়েছে। এ ঘটনায় কারও বিরুদ্ধে গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত ১৯ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় আসে বিমানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন উড়োজাহাজ ড্রিমলাইনার। ২৭১ জন যাত্রী নিয়ে এই ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারে। ৫ সেপ্টেম্বর ‘আকাশবীণা’ নামে এই উড়োজাহাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন সন্ধ্যায় প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইটে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে রওনা দেয় ড্রিমলাইনার।