মিয়ানমারকে আরও চাপে রাখতে চায় বাংলাদেশ

>
  • মানবাধিকার পরিষদ ও জাতিসংঘ অধিবেশনে রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা হবে
  • ১৯ সেপ্টেম্বর জেনেভায় রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনার আয়োজন
  • রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে মানবাধিকার পরিষদের প্রস্তাব পাস হতে পারে
  • জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন না সু চি

এ ছাড়া জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৩৯তম অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়ার কথা রয়েছে। এ মাসের ২৮ তারিখ অধিবেশন শেষ হওয়ার আগে রোহিঙ্গাদের নিয়ে প্রস্তাব পাসের আশা করছে বাংলাদেশ।

জেনেভা ও নিউইয়র্কের কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, জাতিসংঘের সত্যানুসন্ধানী মিশনের গত মাসের প্রতিবেদন, এ মাসে রোহিঙ্গা বিতাড়ন নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সিদ্ধান্তের পর ধারাবাহিক চাপ হতে যাচ্ছে মানবাধিকার পরিষদের চলতি অধিবেশনে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশনে রোহিঙ্গা সংকট গুরুত্ব পাবে। আন্তর্জাতিক এসব অধিবেশনে মিয়ানমারকে প্রবল সমালোচনার মুখোমুখি হতে হবে।

নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশের কূটনীতিকেরা জানিয়েছেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া বক্তৃতা এবং বিভিন্ন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেবেন। সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী ২১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক যাচ্ছেন।

জানা গেছে, সাধারণ পরিষদে গতবারের ধারাবাহিকতায় ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা একটি বৈঠকের আয়োজন করবে।

নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মো. বেলাল গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, রোহিঙ্গা বিতাড়ন নিয়ে আইসিসির তদন্তের সিদ্ধান্ত আদালতের ইতিহাসে এটাই প্রথম। রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পথে এটি নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

৬ সেপ্টেম্বর আইসিসির প্রাক্‌-শুনানিতে আদালতের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত জুনে আইসিসির অনুরোধে রোহিঙ্গা বিতাড়নের বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দিয়েছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দেওয়া পর্যবেক্ষণ প্রাক্‌-শুনানি আদালতকে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করেছে।

জার্মানিতে নির্বাসিত ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনের সমন্বয়কারী নে সেন লুইন গত সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই, মিয়ানমার এখন পর্যন্ত যতটুকু চাপে আছে, তার কৃতিত্ব বাংলাদেশের। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি জাতিসংঘের সত্যানুসন্ধানী মিশনকে অবারিতভাবে কাজ করতে সহায়তা করেছে বাংলাদেশ। ফলে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে গণহত্যার উদ্দেশ্যেই রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা চালানো হয়েছিল।

জাতিসংঘে যাচ্ছেন না সু চি

রোহিঙ্গাদের নৃশংসতার জন্য অব্যাহত চাপে থাকায় এবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন না মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সু চির পরিবর্তে মিয়ানমারের মন্ত্রিসভার দুই জ্যেষ্ঠ সদস্য কিউ টিন্ট সোয়ে ও কিউ টিন সে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।