আ.লীগ ভীরু, তাদের সাহস নেই: রিজভী

রুহুল কবির রিজভী। প্রথম আলো ফাইল ছবি
রুহুল কবির রিজভী। প্রথম আলো ফাইল ছবি

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে জনবিস্ফোরণ ঠেকানো যাবে না বলে সরকারকে হুঁশিয়ার করেছে বিএনপি। আজ শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ভীরু। তাদের কোনো সাহস নেই, শুধু ভয় ও আশঙ্কা আছে। সরকারের যদি সাহস থাকত, তাহলে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দিতেন। কিন্তু জনবিচ্ছিন্ন হওয়ায় অপরিণামদর্শী ‘স্বৈরাচারী’ আওয়ামী সরকার এখন হিতাহিত জ্ঞানশূন্য। যেকোনো মুহূর্তে পিছলে যাওয়ার ভয়ে সরকার পুলিশের ওপর নির্ভর করে মামলা, হামলা ও গ্রেপ্তারের শৃঙ্খলে জনগণকে বন্দী করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে।

বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ মনের ক্ষোভ চেপে রাখতে অধৈর্য হয়ে উঠেছে, তাই সব জায়গায় প্রতিবাদের সোচ্চার ধ্বনি উচ্চারিত হচ্ছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘অবৈধ’ আওয়ামী সরকার চক্রান্ত করে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাঁকে সাজা দিয়েছে। সেটি আবারও প্রমাণ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া কারাগারে গুরুতর অসুস্থ। তিনি হাত-পা নাড়াতে পারেন না, হাঁটাচলা করতে তাঁর মারাত্মক অসুবিধা হয়। চিকিৎসকেরা বলেছেন, তাঁর বাঁ হাত ও পা প্রায় অবশ হয়ে পড়েছে। গুরুতর অসুস্থতার কারণে আদালতে যেতে পারবেন না, খালেদা জিয়া সে কথাটিই বলেছেন। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ জোর করে আদালতকে ব্যবহার করে বিচারকাজ ছাড়াই রায় দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। এটি সম্পূর্ণরূপে ন্যায়বিচারের পরিপন্থী, অমানবিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন।

সারা দেশে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে রিজভী বলেন, ‘পোলিও টিকা খাওয়ানোর একটি স্লোগান আমরা অনেক দিন যাবৎ শুনে এসেছি, "বাদ যাবে না একটি শিশু", এখন সরকার এই স্লোগানটি ভিন্ন অর্থে প্রয়োগ করছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর। মামলা, হামলায় বাদ যাবে না বিএনপির নেতা-কর্মীরা। বিরোধী দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ছাঁকনি দিয়ে ধরা হচ্ছে।’

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, জনগণকে পুলিশের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা, অথচ নিত্যদিনের পুলিশের আগ্রাসী অভিযানে দেশের মানুষের জানমাল নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ছে। এ দেশে বিদেশি মিশনের কূটনীতিকদেরও নিরাপত্তা নেই। বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ওপরও হামলা হয়েছে। কোথাও আওয়াজ শুনলেই সেখানে সরকারি হামলা ধেয়ে আসছে। তিনি আরও বলেন, ‘শুধু বিরোধী দল নয়, গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষকে এই সরকার অপরাধী বানাচ্ছে। সরকারের এই অপরাধের তালিকায় আছেন কোমলমতি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক, শিল্পী, আলোকচিত্রী, সাংবাদিক, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট, শিশু, অশীতিপর বৃদ্ধসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।’