জাতীয় ঐক্য নামধারীরাও পক্ষান্তরে জামায়াতকেই মেনে নিচ্ছে

রাশেদ খান মেনন । ফাইল ছবি
রাশেদ খান মেনন । ফাইল ছবি

সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বিএনপি বারবার আন্দোলন করেছে, বারবার ব্যর্থ হয়েছে। কোটা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হতে চেয়েছে, পারেনি। শিশুদের সড়ক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হতে চেয়েছে, ব্যর্থ হয়েছে। মেনন বলেছেন, এখন সর্বশেষ ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ঐক্যের ঘাড়ে উঠে আন্দোলনের পাঁয়তারা করছে। বিএনপির নিজেদের আন্দোলনের শক্তি নেই বলেই এখন তারা হাত ঘুরিয়ে ভাত খেতে চাচ্ছে।

ড. কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার তীব্র সমালোচনা করে মেনন বলেছেন, জাতীয় ঐক্য নামধারীরাও পক্ষান্তরে জামায়াতকেই মেনে নিচ্ছে।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর মালিবাগের শহীদ ফারুক ইকবাল স্কুল মাঠে ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন মেনন। সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে মালিবাগ ও শাহজাহানপুরের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদ, শিক্ষক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

মেনন বলেন, জাতীয় ঐক্য নামধারীরা স্বাধীনতাবিরোধীদের বিপক্ষে থাকবে বলে জাহির করলেও তারা বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করছে। আর বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করা মানেই স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গেই ঐক্য গড়া। কারণ, বিএনপি হচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের মুদ্রার অন্যপিঠ। বিএনপি কখনোই জামায়াত ছাড়া চলবে না। কাজেই বিএনপি'র সঙ্গে ঐক্য মানেই জামায়াতকে মেনে নেওয়া। কাজেই জাতীয় ঐক্য নামধারীরাও পক্ষান্তরে জামায়াতকেই মেনে নিচ্ছে।

অনুষ্ঠানে মেনন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর গত ১০ বছরের উন্নয়নচিত্রসহ বর্তমান সরকারের দক্ষতা ও যোগ্যতার বাস্তব চিত্র তুলে ধরেন। মন্ত্রী মেনন বলেন, ‘পাকিস্তান একসময় আমাদের এই বাংলাদেশকে ভিখারির দেশ বলে গালি দিত। অথচ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ সেই বাংলাদেশ এমন এক অর্থনৈতিক সাবলম্বিতা পেয়েছে যে খোদ পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবীরা খোলামেলা টক শোতে এসে পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে আগামী ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থানে আসতে পারবে কি না, তার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন।’
ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের কারণে দেশের মানুষের বর্তমান জীবনমান ব্যাপক উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে মেনন আরও বলেন, ‘দেশের সব মানুষের ঘরেই বর্তমানে খাবার রয়েছে। মানুষ এখন না খেয়ে মারা যায় না। খাদ্যে এখন আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে বিদেশেও রপ্তানি করছি। আমাদের মাথাপিছু আয় এখন ১৭৫২ মার্কিন ডলার। আমাদের প্রতিটি ঘরে এখন বিদ্যুৎ চলে এসেছে।’

মেন বলেন, ‘বিএনপি মাত্র ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছিল। দিনে বিদ্যুৎ আসত ১ ঘণ্টা আর চলে যেত ১০ ঘণ্টা। এখন আমাদের বর্তমান সরকার ২০ হাজার মেগাওয়াটেরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। তাই দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ চলে এসেছে। দেশ হয়েছে সত্যিকারের ডিজিটাল।’
১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এনায়েত কবীরের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন শাহজাহানপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল লতিফ, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মুকিদ হাওলাদার হৃদয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আওলাদ হোসেন, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোলাম আশরাফ তালুকদার ও শাহজাহানপুর, মালিবাগ এলাকার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকেরা। বিজ্ঞপ্তি