গণতন্ত্রের পথে বিএনপিই প্রতিবন্ধক

হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি
হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ‘অব্যাহত মিথ্যাচারের’ প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে আওয়ামী লীগ। দলের পক্ষে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র হাছান মাহমুদ অভিযোগ করেছেন, গণতন্ত্রের পথে বিএনপিই হচ্ছে প্রতিবন্ধক। বিএনপি তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তা প্রমাণ করেছে। বিএনপি এখনো আগামী নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

আজ শনিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষে এসব কথা বলেন হাছান মাহমুদ।

হাছান মাহমুদ বলেন, প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে, গণতন্ত্রের অভিযাত্রার ক্ষেত্রে বিএনপিই হচ্ছে প্রতিবন্ধক, বিএনপি তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই তা প্রমাণ করেছে। বিএনপি এখনো আগামী নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সুস্থতা নিয়ে বিএনপি অসুস্থ রাজনীতি করছে। কিছুদিন ধরে বিএনপির বক্তব্য শুনলে মনে হয়, তাদের উদ্দেশ্য খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নয়, বিএনপির আসল উদ্দেশ্য খালেদা জিয়াকে অসুস্থ বানিয়ে এবং দেখিয়ে রাজনীতি করা। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি খালেদা জিয়ার সুস্থতা নিয়ে অসুস্থ রাজনীতি করছে।’

বিএনপির নেতা রুহুল কবির রিজভী মন্তব্য করেছেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সারা দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ছেঁকে ছেঁকে ধরছে।’ এই মন্তব্যের সমালোচনা করে সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীরা যারা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ, গাড়ি ভাঙচুর এবং নাশকতা মামলার আসামি ছিল, তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এলাকায় আবারও আনাগোনা শুরু করেছে। পুলিশ তাদের কোনো কোনো জায়গায় গ্রেপ্তার করেছে। মাত্র ১৫০ থেকে ২০০ জন গ্রেপ্তার হয়েছে, যারা সবাই বিভিন্ন মামলার আসামি। এতে বিএনপি বলছে চিরুনি অভিযান। এই ধরনের মিথ্যাচার সত্যিই অনভিপ্রেত।’ তিনি এর তীব্র নিন্দা জানান।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি যখন রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল তখন বাংলাদেশের ৬৬টি কারাগারে ধারণক্ষমতা ছিল ২৫ হাজার। ২০০১ থেকে ২০০৩ সালে কারাগারে বন্দী ছিল ৭৫ থেকে ৮৫ হাজার। এক দিনে হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এমন ঘটনাও ঘটেছে। ২০০৬ সালেও কারাগারে বন্দীর সংখ্যা ছিল ৯০ হাজার। এখন যে সমস্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের পক্ষে রুহুল কবির রিজভী সাফাই গেয়ে প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়েছেন পেট্রলবোমা হামলাকারীরা তাদের নেতা-কর্মী। অর্থাৎ পেট্রলবোমা হামলার সঙ্গে তারা যে যুক্ত ছিলেন, এটি তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন।’

বিদেশি ‘লবিস্ট ফার্ম’ নিয়োগের বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির “লবিস্ট ফার্ম” নিয়োগের অর্থের উৎস কী, এ টাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গেল কীভাবে, এটি তদন্ত করে খুঁজে বের করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।’ খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য না দিয়ে বরং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আইনি লড়াইয়ের জন্য মনোযোগী হতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান হাছান মাহমুদ।

আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রফিকুর রহমান, রেমন্ড আরেং প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।