রূপগঞ্জে তিন লাশ: পুলিশের মামলা

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তিন যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। পরস্পর যোগসাজশে হত্যা ও লাশ গুম করার অভিযোগ এনে শুক্রবার রাতে এ মামলা করা হয়। তবে এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অন্যদিকে নিহতদের পরিবারের এক সদস্যের দাবি, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

রূপগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার বাদী মো. সফিউদ্দিন এজাহারে উল্লেখ করেন, দায়িত্বরত অবস্থায় শুক্রবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে লোকমুখে তিনি জানতে পারেন পূর্বাচল উপশহরের আলমপূরা এলাকায় ১১নং ব্রিজের নিচে পাকা করিডরের ওপর অজ্ঞাত তিন যুবকের রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। পরে সকাল ৮টার দিকে আরও পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় লাশ তিনটি পড়ে আছে। তিনজনের মধ্যে একজনের প্যান্টের পকেট থেকে ৬০ পিছ ইয়াবা পাওয়া যায়।

পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে না চেনা গেলেও পরে ওই তিনজনের পরিচয় পাওয়া যায়। নিহতরা হলেন—ঢাকার মহাখালীর দক্ষিণপাড়া এলাকার মৃত শহিদুল্লাহর ছেলে সোহাগ ভুঁইয়া (৩২), ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানার গোরেলা এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে শিমুল আজাদ (৩২) এবং মুন্সিগঞ্জ জেলার টুঙ্গিবাড়ি থানার পাইকপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে নূর হোসেন বাবু। শিমুল ও নূর হোসেন দুজনেরই বর্তমান ঠিকানা ঢাকায়।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, ধারণা করা হচ্ছে লাশ উদ্ধারের আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে বা ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে অজ্ঞাত আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে হত্যার পর লাশ গুম করার চেষ্টা করেছিল। নিহতদের পক্ষে কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের না করায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির প্রথম আলোকে বলেন, নিহত সোহাগ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মাদক, হত্যাসহ ৬টি মামলা রয়েছে। নিহত নূর হোসেন বাবুর বিরুদ্ধে ২টি মাদক মামলা রয়েছে। এ ছাড়া নিহত শিমুল আজাদের বিরুদ্ধেও ২-৩টি মামলা রয়েছে। নিহতদের পরিবার মামলা করতে আগ্রহী না হওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। এ ঘটনায় কাউকে শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করা যায়নি।

তবে পুলিশের দাবি নাকচ করে নিহত নূর হোসেনের বড় ভাই আব্দুস সামাদ দাবি করেছেন, নূর হোসেনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তিনি অভিযোগ করেন, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে তাঁদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।