'মানুষের জন্য বিজ্ঞান' গবেষণা পুরস্কার পেলেন ১১ শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে শনিবার সকালে ‘মানুষের জন্য বিজ্ঞান’ গবেষণা পুরস্কারের উদ্বোধন করা হয়। ছবি: প্রথম আলো
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে শনিবার সকালে ‘মানুষের জন্য বিজ্ঞান’ গবেষণা পুরস্কারের উদ্বোধন করা হয়। ছবি: প্রথম আলো

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে দেশের সাধারণ জনগণের জীবনের মান উন্নয়নে নিয়োজিত করা আমাদের শিক্ষিত জনগণের নৈতিক দায়িত্ব। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিজ্ঞান গবেষণায় তরুণদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য আয়োজন করা হয় মানুষের জন্য বিজ্ঞান গবেষণা পুরস্কার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে শনিবার সকাল সাড়ে নয়টায় এ পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্লাজমা প্লাস ল্যাবরেটরিসের সিনিয়র সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজার ড. আমীর হোসেন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসিনা খান এবং মার্কিন দূতাবাসের কালচারাল অ্যাফেয়ার্স অফিসার জুলি নিক্লস।

‘মানুষের জন্য বিজ্ঞান’ গবেষণা পুরস্কারটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগ, ইএমকে সেন্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স সোসাইটি এবং রিলেভেন্ট সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সোসাইটি, বাংলাদেশ। পুরো আয়োজনের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের সাম্মানিক অধ্যাপক ড. খোন্দকার সিদ্দিক-ই রব্বানী।

‘মানুষের জন্য বিজ্ঞান’ গবেষণা পুরস্কার অনুষ্ঠানের একটি মুহূর্ত। ছবি: প্রথম আলো
‘মানুষের জন্য বিজ্ঞান’ গবেষণা পুরস্কার অনুষ্ঠানের একটি মুহূর্ত। ছবি: প্রথম আলো

প্রাথমিকভাবে এই পুরস্কারের জন্য ৪০টি প্রকল্প জমা পড়ে। তার মধ্য থেকে দুটি ধাপে বাছাই করা প্রকল্পগুলো প্রদর্শিত হয় এই আয়োজনে। পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান তাদের উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলোও প্রদর্শন করে। এরপর প্রদর্শিত প্রকল্পগুলো থেকে চারজন বিচারক পাঁচটি প্রকল্পকে পুরস্কার দেওয়ার জন্য মনোনীত করেন।
বেলা সাড়ে তিনটায় পুরস্কার প্রদান ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল আজিজ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক ও মাসিক বিজ্ঞানচিন্তার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম। উত্তম, মধ্যম ও সন্তোষজনক এ তিন স্তরে ৫টি দলকে পুরস্কৃত করা হয়। উত্তম ক্যাটাগরিতে ইওজি কন্ট্রোল্ড ইলেকট্রিক হুইলচেয়ার জন্য পুরস্কার পেয়েছেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের দুই শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব ও মো. আহসান-উল কবির। একই ইন্টেলিজেন্ট ফরমালিন ডিটেকশন সিস্টেম প্রকল্পের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নীল সাহা ও মো. সাদমান সিরাজ। মধ্যম ক্যাটাগরিতে শালবীজ থেকে বায়ো-ফুয়েল তৈরির জন্য পুরস্কার জিতেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মু. ইকরামুল হাসান ও মো. মোহাইমিনুল ইসলাম। এ ছাড়া সন্তোষজনক পুরস্কার জিতেছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদমান সাকিব, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাদী মোহাম্মদ ভূইয়া ও মাহাদী মোহাম্মদ ভূইয়া।
এই আয়োজনের সহযোগী ছিল প্রথম আলো আর মিডিয়া পার্টনার ছিল মাসিক বিজ্ঞানচিন্তা।