সোনারগাঁয়ের মেঘনা-মেনিখালী নদীতে ভরাট ও নির্মাণকাজে স্থিতাবস্থা

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা-মেনিখালী নদীতে ভরাট, দখল ও স্থাপনা নির্মাণকাজের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ পৃথক দুটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রোববার রুলসহ এই নির্দেশ দেন।

একই সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসককে একটি কমিটি গঠন করে সংশ্লিষ্ট এলাকা জরিপের মাধ্যমে দখলকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানাসহ জরিপ প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

‘অস্তিত্ব সংকটে নদ-নদী খাল’ শিরোনামে ৩ জুলাই প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। ‘নদী ভরাট করে ইকোনমিক জোন’ শিরোনামে ৪ সেপ্টেম্বর আরেকটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এই প্রতিবেদন দুটি যুক্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ ৯ সেপ্টেম্বর পৃথক দুটি রিট করে।

আজ আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান। আইনজীবী মনজিল মোরসেদ পরে প্রথম আলোকে বলেন, ১৯৯৫ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও ২০০০ সালের জলাধার সংরক্ষণ আইনের বিধান অনুসারে নদীর জায়গা দখল ও ভরাট সম্পূর্ণ নিষেধ। অথচ নারায়ণগঞ্জে মেঘনা নদীতে ‘আমান ইকোনমিক জোন’ এবং মেনিখালী নদীতে স্থানীয় প্রভাবশালীরা মাটি ভরাট, অবৈধ দখল ও স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। তাই রিটটি করা হলে আদালত ওই দুই নদীর জায়গায় মাটি ভরাট, দখল ও নির্মাণকাজের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন।

রুলে ওই নদীর দখল বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং ভরাট করা মাটি ও স্থাপনা অপসারণের জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নদী সিএস বা আরএস রেকর্ড অনুসারে সংরক্ষণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিআইডব্লিউটিএ-এর চেয়ারম্যান, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ১২ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।