গাইবান্ধায় হঠাৎ পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তি

ঘোষণা না দিয়ে পরিবহন ধর্মঘট শুরু করায় ভোগান্তির শিকার হয় যাত্রীরা। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, গাইবান্ধা, ১৬ সেপ্টেম্বর। ছবি: শাহাবুল শাহীন
ঘোষণা না দিয়ে পরিবহন ধর্মঘট শুরু করায় ভোগান্তির শিকার হয় যাত্রীরা। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, গাইবান্ধা, ১৬ সেপ্টেম্বর। ছবি: শাহাবুল শাহীন

কোনো ঘোষণা ছাড়াই আজ রোববার সকাল ছয়টা থেকে গাইবান্ধায় পরিবহন ধর্মঘট শুরু করা হয়েছে। রোববার গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়েনি। ফলে যাত্রীরা গাইবান্ধা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দুর্ভোগের শিকার হয়।

আজ রোববার বেলা ১১টায় গাইবান্ধা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেল দুর্ভোগের চিত্র। সারিবদ্ধভাবে বাস রাখা হয়েছে। বাসে চালক ও তাঁদের সহকারীরা নেই। নেই কোনো শ্রমিক। বাস চলাচল বন্ধ দেখে ব্যাগ হাতে যাত্রীরা ঘোরাঘুরি করছে। কেউ কেউ বাড়িতে ফিরে যাচ্ছে, কেউ কেউ আশা নিয়ে টার্মিনালে বসে আছে যদি বাস ছাড়ে।

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালি গ্রামের ব্যবসায়ী আমিনুল হক বলেন, ‘বগুড়ায় আমার মেয়ের বাড়ি। সে খুব অসুস্থ। তাই পরিবার নিয়ে বগুড়ায় যাওয়ার জন্য আজ বেলা ১১টায় টার্মিনালে এলাম। এসে দেখি বাস বন্ধ। আগে জানলে আসতাম না। তাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।’ পাশের কালীর বাজার গ্রামের গৃহবধূ জোসনা বেগম বলেন, ‘রংপুর মেডিকেলে আমার অসুস্থ স্বামী ভর্তি আছেন। গতকাল শনিবার বাড়িতে টাকা নিতে এসেছিলাম। আজ রংপুরে যাওয়ার জন্য বাস ধরতে এলাম। এসে দেখি কোনো বাস যাচ্ছে না। তাই বসে আছি, যদি বাস ছাড়ে। কারণ, আমাকে যেতেই হবে।’

রোববার বেলা একটার দিকে নাটোরে যাওয়ার জন্য বাস টার্মিনালে যান গাইবান্ধা নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, এমনিতেই ধর্মঘট মানে দুর্ভোগ। উপরন্তু, হঠাৎ পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে জনগণের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। না জেনে বাস টার্মিনালে গিয়ে মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে।

গাইবান্ধা জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি মকবুল হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, প্রস্তাবিত সড়ক নিরাপত্তা আইনে জরিমানা ও সাজার বিধান সংশোধনের দাবিতে চালকেরা গাড়ি চালাচ্ছেন না। এ ছাড়া তাঁরা নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছেন। তিনি বলেন, প্রথমে দিনাজপুর জেলায় এই কর্মসূচি শুরু হয়। পরে গাইবান্ধা ও রংপুরসহ উত্তরের কয়েকটি জেলায় এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দাবি না মানা পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।