মধুর ক্যানটিনে রাজনৈতিক চর্চায় কারও বাধা নেই: উপাচার্য

ডাকসু নির্বাচন বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদের সঙ্গে বৈঠক অংশ নেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা। সভা শেষে উপাচার্য আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। উপাচার্যের কার্যালয়সংলগ্ন লাউঞ্জ, ঢাবি, ১৬ সেপ্টেম্বর। ছবি: সাজিদ হোসেন
ডাকসু নির্বাচন বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদের সঙ্গে বৈঠক অংশ নেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা। সভা শেষে উপাচার্য আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। উপাচার্যের কার্যালয়সংলগ্ন লাউঞ্জ, ঢাবি, ১৬ সেপ্টেম্বর। ছবি: সাজিদ হোসেন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন আগামী মার্চে হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান। তাঁর আশা, এ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকার খসড়া অক্টোবরের মধ্যে প্রণয়ন করা সম্ভব হবে।

আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদের সভা শেষে উপাচার্যের কার্যালয়সংলগ্ন লাউঞ্জে উপাচার্য আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

কবে নাগাদ ডাকসু নির্বাচন দেওয়া হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘প্রভোস্ট কমিটি, শৃঙ্খলা পরিষদ ও সিন্ডিকেট থেকে একটি নির্দেশনা তো আগেই দেওয়া আছে। ডাকসু নির্বাচনের জন্য কাজের যে লোড, যে কর্মপরিধি তা বিবেচনায় নিয়ে আমাদের কমিটিগুলো একটা নির্দেশনা ইতিমধ্যেই দিয়েছে, সেটা হলো মার্চ ২০১৯। এ নিরিখে এখন পর্যন্ত আমাদের ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলছে। আশা করি অক্টোবরের মধ্যে খসড়া যে ভোটার তালিকা, সেটি প্রণয়ন করব। এই ভোটার তালিকা প্রণয়ন একটি জটিল কাজ। সেটি করতে পারলে অনেক এগিয়ে যাব।’

ডাকসু নির্বাচন দেওয়ার আগে হলে সব দলের সহাবস্থান নিশ্চিত করা প্রসঙ্গে ছাত্রদের দাবিসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘হলগুলোতে অবস্থানের জন্য প্রভোস্টরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। মধুর ক্যানটিনকেন্দ্রিক যে রাজনৈতিক চর্চা, সেটি সবার জন্য উন্মুক্ত। সেখানে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো তাদের যে কার্যক্রম চালাবে, তাতে কারও জন্য প্রশাসন থেকে কোনো বাধা নেই। বরং আমরা সেটাকে উৎসাহিত করি।’

ঢাবি উপাচার্য বলেন, এখানে প্রতিটি ক্রিয়াশীল সংগঠনের নেতাদের উপিস্থিতিতে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সব সংগঠনের নেতারাই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ মেনে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন। গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, সংসদীয় মূল্যবোধ সংরক্ষণ করে শিক্ষার্থীরা আলোচনা করেন। তাঁদের আলোচিত বিষয়গুলো আমাদের প্রক্টর ও প্রক্টরিয়াল বডি লিখে রেখেছেন। এটা নিয়ে পর্যালোচনা করে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। তিনি বলেন, আলোচনা শেষে এ নিয়ে সবাই সন্তোষ প্রকাশ করেছে। আলোচনাকে সবাই সাধুবাদ জানিয়েছে। তাদের সঙ্গে কবে নাগাদ ডাকসু ইলেকশন দেওয়া যায়, ক্যাম্পাসে সহাবস্থান, সম্ভাব্য তারিখ এসব বিষয় নিয়ে ছাত্ররা আলোচনা করেছে।

অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে, এটা নিয়ে প্রভোস্ট কমিটির সঙ্গে আমরা বসে পর্যালোচনা করব। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এটা আমাদের প্রাথমিক আলোচনা, আমরা পরবর্তী সময়ে আরও বসব।’ কারা ভোটার হতে পারবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডাকসুর যে কনস্টিটিউশন আছে তা অনুযায়ীই ভোটার তালিকা হবে।

গত ১০ বছরে ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে তাদের কোনো দলীয় কর্মসূচি পালন করতে পারেনি।