কিশোরীকে ধর্ষণ, অভিযোগ সৎবাবার বিরুদ্ধে

তার মা ছিলেন বাড়ির বাইরে। ছোট ভাইকে নিয়ে তখন বাসায় অবস্থান করছিল ওই কিশোরী (১৩)। এ সময় ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করে শনিবার ঢাকার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ফারুক (৩৮) নামের এক ব্যক্তি। ফারুক ওই কিশোরীর সাবেক সৎবাবা। এখন তিনি কারাগারে আছেন। এ ঘটনায় গত শুক্রবার কিশোরীর মা বাদী হয়ে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলা করলে সেদিনই ফারুককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ওই কিশোরী এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে আছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামরাঙ্গীরচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, কিশোরীর মা বাসায় ছিলেন না। তখন ফারুক তাকে ধর্ষণ করেন। এর আগেও কিশোরীকে দুবার ধর্ষণ করার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন ফারুক।

ঢাকার একটি জুতা কারখানায় কাজ করেন ফারুক। মামলায় কিশোরীর মা বলেছেন, তাঁর দুই সন্তান। মেয়ের বয়স ১৩ বছর, ছেলের বয়স ৬ বছর। প্রথম স্বামী তাঁকে তালাক দেওয়ার পর ফারুক তাঁকে বিয়ে করেন। ফারুক এর আগেও বিয়ে করেন। সেই ঘরে তাঁর একটা মেয়ে আছে। বিয়ের পর ফারুকের সঙ্গেও বনিবনা না হওয়ায় এক বছর আগে তিনি তালাক দেন।

কিশোরীর মা এজাহারে আরও বলেন, বিচ্ছেদ হওয়ার পরও তাঁর প্রথম পক্ষের ছেলে ও মেয়েকে দেখার জন্য বাসায় মাঝেমধ্যে আসতেন ফারুক। গত মঙ্গলবার তিনি তাঁর মাকে নিয়ে সন্ধ্যায় গাবতলী টার্মিনালে যান। ফারুক তাঁর বাসায় এসে রাত সাড়ে আটটার দিকে তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা নুরুজ্জামান বলেন, গাবতলী থেকে সেদিন রাত নয়টার দিকে বাসায় আসেন কিশোরীর মা। কিশোরীকে বিষণ্ন দেখে জিজ্ঞাসা করার একপর্যায়ে স্বীকার করে, ফারুক তাকে ধর্ষণ করেছেন। পরে থানায় মামলা করলে পুলিশ ফারুককে গ্রেপ্তার করে।