রঙিন ডানার শীতলপাটি

ভেজা মাটি থেকে রস শুষে খাচ্ছে পুরুষ শীতলপাটি। মৌলভীবাজারের আদমপুরে।  ছবি: লেখক
ভেজা মাটি থেকে রস শুষে খাচ্ছে পুরুষ শীতলপাটি। মৌলভীবাজারের আদমপুরে। ছবি: লেখক

মৌলভীবাজারের আদমপুর বিট। ক্ষীণধারার ছড়ার খুদে বালুচরে সাদা-কালো একটি পতঙ্গ বসে ছিল। পাশ দিয়ে যেতেই দ্রুত উড়াল দিল। কী চমৎকার ওড়ার ভঙ্গি! মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই।

সাদা-কালো পতঙ্গটি এ দেশের বিরল ও বিপন্ন প্রজাপতি শীতলপাটি। ইংরেজি নাম গ্রেট জেব্রা। পরিবার প্যাপিলিওনিডি। বৈজ্ঞানিক নাম graphium xenocles.

শীতলপাটির প্রসারিত ডানা ৮৫-১০০ মিলিমিটার। ডানার ওপরের ভিত্তি রং কালো। সামনের ডানার কিনারায় সাদা ফোঁটার মালা। মাঝখানে ও সামনের প্রান্তে সারি সারি সাদা ডোরা। পেছনের ডানার প্রান্ত ঢেউখেলানো, তাতে অর্ধচন্দ্রাকৃতির ফোঁটা। শিরা কালো। ডানার ভেতরের প্রান্তে হলুদ চোখের মতো ফোঁটা। ডানার নিচের কারুকাজ ওপরের মতোই, কিন্তু ভিত্তি রং বাদামি। দেহ সাদা-কালো ডোরাকাটা। স্ত্রী-পুরুষ একই রকম হলেও স্ত্রী আকারে বড় ও ফ্যাকাশে।

শীতলপাটি সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের আধা-চিরসবুজ পাহাড়ি বনের বাসিন্দা। এরা কম উঁচুতে ওড়ে। এপ্রিল-আগস্ট পর্যন্ত ওড়াউড়ি করে। মূল আকর্ষণ ফুলের রস।

এদের প্রজননসংক্রান্ত তথ্য জানা যায়নি। বাংলাদেশ ছাড়াও এদের ভারত, নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারে দেখা যায়।