নতুন স্টপেজে বাস থামে না

বাংলামোটর মোড় থেকে একটু দূরে নতুন করে বাস স্টপেজের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু জায়গাটি খালি পড়ে থাকে। থামে না কোনো বাস। গতকাল দুপুরের চিত্র।  প্রথম আলো
বাংলামোটর মোড় থেকে একটু দূরে নতুন করে বাস স্টপেজের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু জায়গাটি খালি পড়ে থাকে। থামে না কোনো বাস। গতকাল দুপুরের চিত্র। প্রথম আলো

বাংলামোটর মোড়ে যাত্রী ওঠানামার জন্য নতুন করে বাস স্টপেজ করা হয়েছে। তবে যাত্রীবাহী বাস এবং যাত্রীরা এখনো তাতে অভ্যস্ত হয়নি। বাসগুলো নির্ধারিত জায়গায় না থেমে আগের মতোই মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনেই যাত্রী ওঠানো-নামানোর কাজ করছে। ফলে বিশৃঙ্খল অবস্থা আগের মতোই রয়ে গেছে।

কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউতে বাংলামোটর মোড়ের পুলিশ বক্স থেকে প্রায় ৫০-৬০ মিটার দূরে পূর্ব পাশে বাস স্টপেজ শুরু। ২০ মিটার জায়গাজুড়ে স্টপেজটি। সেখানে ফুটপাতে নির্মাণ করা হয়েছে জলপাই রঙের যাত্রীছাউনি।

সরেজমিনে দেখা যায়, যাত্রী বা বাসচালকেরা আগের জায়গাতেই দাঁড়াচ্ছেন। এ বিষয়ে বাস কিংবা যাত্রীদের সচেতন করতে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকেও তাড়া দিতে দেখা যায়নি। মোড়ে এসে বাসগুলোর মধ্যে যাত্রী তোলার প্রতিযোগিতা আগের মতোই আছে।

এই মোড়ে বাসের অপেক্ষায় থাকা সাইফুল হাসান বলেন, ‘নতুন বাস স্টপেজ দেওয়া আছে, কিন্তু কোনো নির্দেশনা নেই। এ কারণে আমরা জানিই না নতুন বাস স্টপেজ আছে। আর পুলিশের পক্ষ থেকেও এখানে বাস না থামানোর বা যাত্রীদের নতুন বাস স্টপেজে নিয়ে যাওয়ার কোনো তৎপরতা দেখিনি।’ বাংলামোটর মোড়ে আরেকটি ট্রাফিক সাইনবোর্ডে ‘সামনে বাস স্টপেজ’ এমন নির্দেশিকা থাকা দরকার ছিল বলে তিনি মনে করেন।

বাংলামোটর পুলিশ বক্সের কাছে কর্তব্যরত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের সার্জেন্ট মো. মোরশেদ বলেন, ‘বাসগুলো নতুন স্টপেজে দাঁড়ানোর জন্য এখনো অভ্যস্ত হয়নি। আমরা স্টপেজ অনুযায়ী বাস থামানোর চেষ্টা করছি। ট্রাফিক পুলিশের নিয়মিত ফোর্স দিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা আনা যায় না। আমরা বাসগুলো আরও সামনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু বাসগুলো কিছুতেই নিয়ম মানছে না। যাত্রী ও বাসগুলো তাদের পুরোনো অভ্যাস ছাড়তে পারছে না। পুলিশ বক্সের সামনেই যাত্রী নামাচ্ছে-তুলছে।’

মোড় থেকে কিছুটা দূরে এই বাস স্টপেজ দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ব্যস্ততম এই মোড়ে যাত্রী ও বাসের জট এড়াতে ওই জায়গায় বাস স্টপেজ করা হয়েছে।

সার্জেন্ট বলেন, ‘আমরা বাসগুলোকে গেট বন্ধ রাখার জন্যও নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু এখন ওরা আমাদের দেখে গেট বন্ধ রাখে, অন্য সময় গেট খোলাই রাখে।’ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরুণেরা কাজে সহযোগিতা করায় তাঁদের কাজ আরও সহজ হয়েছে বলে জানান সার্জেন্ট মো. মোরশেদ। তিনি বলেন, অন্য সময় তাঁরা নিয়ম মানতে চান না। এখন স্বেচ্ছাসেবীরা কথা বললে শুনছেন। কিছুদিন এভাবে চললে মানুষ নিয়ম মানতে অভ্যস্ত হবে।