ঢাকা-ভাঙ্গা ৬ লেন সড়কের উদ্বোধন ১৩ অক্টোবর

ওবায়দুল কাদের।ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের।ফাইল ছবি

ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ছয় লেন সড়কের উদ্বোধন হবে আগামী ১৩ অক্টোবর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই দিন এ সড়কসহ আরও কিছু উন্নয়ন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকার দলীয় সাংসদ ফারুক খানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী আরও বলেন, এই সংসদের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ দেশবাসীকে জানাতে চাই, এটিই হবে দেশের প্রথম ছয় লেনের এক্সপ্রেসওয়ে। ১৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী ছয় লেনের এক্সপ্রেসওয়ে ছাড়াও পদ্মা সেতুর রেলওয়ে প্রকল্প নির্মাণকাজ ও ইতিমধ্যে শেষ হওয়া নদী শাসন কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।

মন্ত্রী জানান, পদ্মা সেতুর ৫৭ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।

প্রশ্নোত্তরের আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল পাঁচটার পর সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।

জাসদের সাংসদ এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বিশেষ কোনো অঞ্চলকে অবহেলা করা হয়নি। এ সরকারের সময়ে বগুড়ায় যে উন্নয়নকাজ হয়েছে, তা নোয়াখালীতেও হয়নি। এ সরকার কোথায় দলের জনপ্রতিনিধি রয়েছে তা বিবেচনায় নিয়ে উন্নয়নকাজ করে না। দেশের জনগণকে বিবেচনায় নিয়ে উন্নয়ন কর্মসূচি নেয়।

ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাংসদ নবী নেওয়াজের প্রশ্নের জবারে রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক জানান, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে ৩৮টি রুটে ২০৭টি ট্রেন এবং পশ্চিমাঞ্চলে ৫০টি রুটে ১৪১টি ট্রেন চলে। পর্যায়ক্রমে রেলওয়ের রুট ও ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে কোচ, ওয়াগন ও লোকোমোটিভ ক্রয়ের প্রকল্প গ্রহণ ও জনবল নিয়োগ অব্যাহত রয়েছে।
জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের দুই মেয়াদে ২৭০টি কোচ ও ৪৬টি লোকোমোটিভ সংগ্রহ করে ১১৭টি ট্রেন চালু করা হয়েছে। পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের আওতায় ১০০টি বিজি কোচসহ মোট ৭০০টি কোচ এবং ১০০টি মিটারগেজ ও ৪০টি ব্রজগেজ লোকোমোটিভ সংগ্রহ প্রক্রিয়াধীন।

সংরক্ষিত আসনের সানজিদা খানমের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ৪৬০টি স্টেশনের মধ্যে ৯৬টি বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রেলস্টেশনের মধ্যে পূর্বাঞ্চলে ৩৩টি ও পশ্চিমাঞ্চলে ৬৩টি। জনবল নিয়োগ সাপেক্ষে বন্ধ স্টেশনগুলো চালু করা হবে।

সরকারি দলের এম এ মালেকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশে মোট রেললাইনের দৈর্ঘ্য ২ হাজার ৯২৯ দশমিক ৫০ কিমি। এর মধ্যে ব্রজগেজ ৬৫১ দশমিক ৩০ কিমি, মিটারগেজ ১ হাজার ৮৪৫ দশমিক ৪১ কিমি এবং ডুয়েল গেজ ৪৩২ দশমিক ৭৮ কিমি।

ফেনী-২ আসনের নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রেলওয়ের ৯ কোটি যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা রয়েছে।

কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সোহরাব উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে মুজিবুল হক জানান, রেলওয়ের অব্যবহৃত ভূমির পরিমাণ ৮ হাজার ৯৮৭ দশমিক ৩৪ একর। এসব জমিতে পিপিপির আওতায় আধুনিক হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, আন্তর্জাতিক মানের পাঁচ তারকা হোটেল-কাম-বাণিজ্যিক ভবন, মোটেল, বহুতল বিশিষ্ট শপিংমল-কাম গেস্টহাউস নির্মাণে প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।

নোয়াখালী-৩ আসনের মামুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক জানান, দেশের বার্ষিক কাপড়ের চাহিদা ২ হাজার ৪০০ মিলিয়ন মিটার। প্রতিবছর বিদেশ থেকে ৪০০ থেকে ৭০০ মিলিয়ন মিটার কাপড় আমদানি করতে হয়।