নির্বাচনের তফসিল প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন

একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল প্রকাশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সমর্থনের প্রমাণ হিসেবে নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দেওয়ার বিধানের বৈধতা নিয়ে করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে চার বছর আগে হওয়া রুলের সূত্র ধরে আবেদনটি করা হয়। ওই রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তফসিল প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে সম্পূরক এই আবেদনটিতে।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ মঙ্গলবার আবেদনটি নিয়ে যান আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। পরে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এখন রুলের জবাব হাতে আসেনি। তাই সম্পূরক আবেদনটি শুনানির জন্য আদালতে উপস্থাপন করা হয়। আদালত অবকাশ শেষে নিয়মিত বেঞ্চে আবেদনটি উপস্থাপন করতে বলেছেন।

আইনজীবী সূত্র বলছে, চার বছর আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ ওই বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১২ মে হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্রে ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনের সই জমা দেওয়ার বিধান কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ বিবাদীদের ওই বছরের ৯ জুনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এই রুল বিচারাধীন অবস্থায় রিট আবেদনকারী গত ১৬ সেপ্টেম্বর সম্পূরক আবেদনটি করেন।

ইউনুছ আলী আকন্দ প্রথম আলোকে বলেন, ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) ওই বিধান ছিল না। ২০০৮ সালে আরপিওর ১২ ধারা সংশোধন করে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনের সইয়ের বিধান যুক্ত করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়। পরবর্তী সময় ২০১১ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী (প্রার্থিতার পক্ষে সমর্থন যাচাই) বিধিমালার গেজেট করে নির্বাচন কমিশন। তবে যাঁরা দলীয়ভাবে নির্বাচন করবেন তাঁদের ক্ষেত্রে ওই শর্ত প্রযোজ্য নয়, যা বৈষম্যমূলক। ওই বিধান সংবিধানের ৭, ২০, ২৬, ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদ ও আরপিওর বিধানের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। এসব যুক্তিতে আইন ও বিধিমালা চ্যালেঞ্জ করেই রিটটি করা হয়।