মাদারীপুরে এসপি কার্যালয়ের গ্যারেজ থেকে মোটরসাইকেল চুরি

মাদারীপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের ভেতরের গ্যারেজ থেকে হিসাবরক্ষকের মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার কার্যালয়ের একাধিক সূত্র জানায়, গত সোমবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক মিজানুর রহমান প্রতিদিনের মতো তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি এসপি অফিসের বাউন্ডারির ভেতরে পশ্চিম দিকে গাড়ি রাখার গ্যারেজে রাখেন। অফিসের কাজ শেষে সন্ধ্যার দিকে বের হওয়ার পর মোটরসাইকেলটি না পেয়ে ব্যাপক খোঁজাখুঁজি করেও পাননি তিনি।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে হিসাবরক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘মাদারীপুর-ল ১১-১৮৪৯ রেজিস্ট্রেশনকৃত আমার এপাচি আরটিআর মোটরসাইকেল এসপি অফিসের ভেতর থেকে খোয়া যায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। জিডি নম্বর-৯৭২। এসপি অফিসের ভেতর থেকেও মোটরসাইকেল চুরির বিষয়টি দুঃখজনক।’

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মোটরসাইকেলটি রাতে চুরি হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার বলেন, ‘আমি অফিসের কাজে ঢাকায় আছি। মোটরসাইকেল যেখান থেকে চুরি হয়েছে সেখানে সিসি ক্যামেরা ছিল না। মোটরসাইকেল উদ্ধার ও জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ।’

উল্লেখ্য, গত এক বছরে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অফিসের সামনে থেকে এবং ঘরের দরজা ও কলাপসিবল গেট ভেঙে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) কর্মকর্তা, পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের শতাধিক মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে এনএসআইয়ের কর্মকর্তা ফিরোজ আলম চৌধুরীর মোটরসাইকেলসহ বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল উদ্ধার ও চোর চক্রকে আটক করা হয়। আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের অন্যতম হোতা মহম আলী জেলার কালকিনিতে ডিবি পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তারপরও মোটরসাইকেল চুরি থেমে নেই। এ ছাড়া সম্প্রতি কালকিনি উপজেলার শশীকর এলাকা থেকে মোটরসাইকেলসহ দুই চোরকে আটক করে ডাসার থানা-পুলিশ।