'সুন্দরী সোহেল' পালিয়ে গেছেন?

প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে মহাখালীতে যুবলীগের কর্মী কাজী রাশেদ হত্যা মামলার আসামিরা ধরা পড়ছেন না বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। ওই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি বনানী থানা যুবলীগের আহ্বায়ক ইউসুফ সরদার ওরফে ‘সুন্দরী সোহেল’ দেশের বাইরে পালিয়ে গেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সোহেলকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা করছে তারা।

গত ১১ জুলাই মহাখালীতে যুবলীগ নেতা সুন্দরী সোহেলের ব্যবসায়িক কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় কাজী রাশেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে সোহেলের কার্যালয়ের ভেতর থেকে রাশেদের লাশ কয়েকজন মিলে টেনে বের করার ভিডিও ফুটেজও পায় পুলিশ। সেই কার্যালয় থেকে ১২১টি গুলিসহ চারটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সোহেল এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।

এ ঘটনায় নিহত রাশেদের স্ত্রী কাজী মৌসুমী সোহেলসহ কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে বনানী থানার পুলিশ। তবে নিহত কাজী রাশেদের পরিবারের অভিযোগ, সুন্দরী সোহেলের প্রভাবের মুখে বনানী থানার পুলিশ মামলা এগোতে পারেনি। পরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব যায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে।

কাজী মৌসুমী বলেন, তাঁর ধারণা, এখানে কোনো বড় হাত আছে। পুলিশ তদন্তে গুরুত্ব দিচ্ছে না। দুই মাসের বেশি হয়ে গেল, এখন পর্যন্ত আসামিরা ধরা পড়ছে না।

ডিবির উপকমিশনার মশিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে থাকলে অবশ্যই সোহেল গ্রেপ্তার হবেন।

তবে বনানীর একজন ব্যবসায়ী ও যুবলীগ নেতা গত সপ্তাহে প্রথম আলোকে বলেন, সোহেল এর মধ্যেই বিদেশি নম্বর দিয়ে অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এতে সবার ধারণা হয়েছে, তিনি বিদেশে পালিয়ে গেছেন। ওই যুবলীগ নেতা বলেন, এর আগে ২০১৬ সালে এক রিকশাচালকের পায়ে গুলি করেছিলেন সোহেল। তখনো স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার মধ্যস্থতায় পার পেয়ে যান। ২০১৩ সালে মহাখালীতে যুবলীগ নেতা জাকিরের ওপর গুলি চালিয়েছিলেন সোহেল। সেই ঘটনাটিও মীমাংসা হয়ে যায়। পরে সোহেলের সঙ্গে জাকিরের ঘনিষ্ঠতা হয়। রাশেদ হত্যা মামলায় পুলিশ একমাত্র জাকিরকেই গ্রেপ্তার দেখাতে পেরেছে। তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।